রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) তরুণ ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal) নিজের ব্যাটিংয়ে সমর্থকদের যথেষ্ট প্রভাবিত করেছেন। তিনি অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সকলের মনযোগ নিজের দিকে আকর্ষিত করেছিলেন। যার ফলেই তিনি আইপিএলে (IPL 2022) রাজস্থানের দলে সুযোগ পান। তিনি এই মুহূর্তে রঞ্জি ট্রফি ২০২২ (Ranji Trophy 2022) এর মরশুমে মুম্বইয়ের হয়ে নিজের ব্যাটিংয়ে সকলকে মুগ্ধ করছেন। এর মধ্যে তিনি একটি আবেগী বয়ানও দিয়েছেন, যা শুনলে আপনিও ভাবতে বাধ্য হবেন।
Yashasvi Jaiswal এর সংঘর্ষের কাহিনী এমন
একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে বড় ক্রিকেটার হওয়া কতটা মুশকিল, এ কথা কারও কাছে লুকোনো নেই। যদি পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি ভাল না হয়, তাহলে লড়াই আরও কঠিন হয়ে যায়। অনুর্ধ্ব ১৯, রঞ্জি ট্রফি আর তারপর আইপিএল পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য একজন তরুণ খেলোয়াড়কে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়। এমনই গল্প যশস্বী জয়সওয়ালের।
যশস্বী জয়সওয়াল ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। তিনি ছোট থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। ১০ বছর আগে তিনি ক্রিকেট খেলার জন্য মুম্বইতে এসেছিলেন। মুম্বইয়ের মতো দামি শহরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারা সবচেয়ে মুশকিল কাজ। যখন যশস্বী মুম্বই আসেন, সেই সময় না তো তার কাছে থাকার জন্য ঘর ছিল আর না ঘর ভাড়া নেওয়ার মতো অর্থ। এই কারণে তিনি তাবুতে শুতেন।
যশস্বীর কাছে লড়াই করা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এমনকী খিদে মেটানোর খাবার পর্যন্ত ছিল না তার কাছে। এই কারণে তিনি পুরো দিন গ্লুকোজ বিস্কুট খেয়ে কাটাতেন। মুম্বইয়ের মতো শহরে কোনো পরিচিতি ছাড়া কেউ চট করে কাজেও রাখে না। তাই নিজের খরচ চালাতে যশস্বী আজাদ ময়দানের কাছে ফুচকা বিক্রি করতেন। যাতে কিছু রোজগার হয় আর তিনি নিজের খরচ চালাতে পারেন। এই খেলোয়াড় নিজের কড়া মেহনতে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেন। বলা স্বপ্ন তারাই দেখেন, যারা তা সত্যি করার জন্য যে কোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত। আজ যশস্বী ক্রিকেটের একজন পরিচিত মুখ। বর্তমানে এই তরুণ খেলোয়াড় আইপিএলে খেলে যথেষ্ট অর্থ রোজগার করেন। অর্থ থাকা সত্ত্বেও এই খেলোয়াড় নিজের অতীত ভোলেননি। তিনি বলেছিলেন, “নিজের লড়াইয়ের দিনে আমি যেমনটা ছিলাম, আজও তেমনটাই রয়েছি”।
এভাবেই নিজের অতীতকে স্মরণ করলেন যশস্বী
রাজস্থান রয়্যালসের তরুণ ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়ালের সংঘর্ষের গল্প তরুণ খেলোয়াড়দের ইনস্পায়ার করতে পারে। মানুষ নিজের জীবনে যতই উন্নতি করুক, কিন্তু সে নিজের শুরুর দিনকে কখনও ভোলে না। কারণ সেই মানুষ জানেন যে তার সফলতার পেছনে সেদিনের লড়াইয়ের বড় যোগদান রয়েছে। যদি সে সেই দিন হার মেনে নিতেন, তাহলে আজ যিনি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানে কখনই পৌঁছতে পারতেন না। যশস্বী নিজের অতীতের কথা স্মরণ করে বলেন,
“আমি যে সফর করেছি, তা সারা জীবন আমার সঙ্গেই থাকবে। সেই অতীতকে স্মরণ করে আমি সবসময়ই আত্মবিশ্বাস পাব। হ্যাঁ, এখন অর্থ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু এমনটা নয় যে এর ফলে আমার ভাবনার ধরণে কোনো পরিবর্তন এসেছে। আমি নিজের সংঘর্ষের দিনে যেমনটা ছিলাম, আজও তেমনটাই রয়েছি। আমি একদমই বদলাইনি আর না বদলাব। আমি আজ পর্যন্ত যেমনটা ভেবে এসেছি, ভবিষ্যতেও তেমনটাই ভাবব। আমি জানি যে লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য কতটা মেহনত আর নিষ্ঠার প্রয়োজন হয়”।