বর্তমান ক্রিকেট জগতে সম্ভবত এমন কেউই নেই যিনি অস্বীকার করতে পারেন যে ওয়েস্টইন্ডিজের অলরাউন্ডার তথা আইপিএলে কেকেআর দলের সদস্য অ্যান্দ্রে রাসেল টি-২০ ফর্ম্যাটের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন। বিখ্যাত পত্রিকা উইজডেনও এই ধারণার সঙ্গে সহমত পোষণ করে, যে কারণে তারা এই জামাইকান অলরাউন্ডারকে ২০১৯ এর শ্রেষ্ঠ টি-২০ ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নিয়েছে। নিজের সুপার ম্যান ইমেজের সঙ্গে রাসেল সহজেই বলকে মাঠের বাইরে পাঠাতে পারেন যা তিনি তার বেশকিছু ইনিংসেই তার প্রমান দিয়েছেন, বিশেষ করে বড়ো রান তাড়া করার ক্ষেত্রে।
গত এক বছরে টি-২০ করেছেন ১০৮০ রান
গত এক বছরে রাসেল পাঁচটি বড়ো টি-২০ ক্রিকেট লীগে ৪৬টি ম্যাচ খেলেছেন। তার মধ্যে রাসেল ১৮২ স্ট্রাইকরেট এবং ১০১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮০ রান করেছেন। বল হাতেও তিনি ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন সেই সঙ্গে তিনি ফিল্ডিং করে ২৩টি ক্যাচও নিয়েছেন। আইপিএলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে রাসেলের বিস্ফোরণ সর্বজনবিদিত। গত বছর এই টুর্নামেন্টে রাসেল ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’এর খেতাব জিতেছিলেন ৫১০ রান এবং ১১টি উইকেট নিয়ে।
ব্যান হওয়ার পর ফিরে আসি শক্তিশালী হয়ে
২০১৯এ আইপিএলে তিনি ৫২টি ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়েছিলেন যা ২০১২য় ক্রিস গেইলের মারা ৫৯টি ছক্কার পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই ৩১ বছর বয়সী খেলোয়াড় তার এই প্রদর্শনের শ্রেয় নিজের ফিটনেসের প্রতি আনুগত্যকে দিয়েছেন, যা তিনি ২০১৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এক বছরের জন্য অ্যাণ্টি ডোপিং ব্যান চলাকালীন অবলম্বন করেছিলেন। এই জামাইকান প্রকাশ করেছেন যে যবে থেকে তিনি ব্যান হয়েছিলেন, তারপর থেকেই তিনি তার মানসিকতার পরিবর্তন করেছেন আর নিজের ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে মেদ ঝরিয়ে পেশিবহুল হয়ে ওঠেন। যা তাকে দারুণভাবে শক্তিশালী শটস খেলতে সক্ষম করেছে। উইজডেনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাসেল জানিয়েছেন,
“যবে থেকে আমি ব্যান হয়েছি তারপর থেকে আমি নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করেছি। আমি কাঁপতাম। আমি মোটা ছিলাম, আমি অলস ছিলাম। আমি খুব শক্তি প্র্যাকটিস করতাম না। আমি আরো বেশি রোগা, পেশিবহুল এবং শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসি। আমি আমি অনায়াসেই বলকে ছয়ের জন্য হিট করতে পারি”।