খেতাবজয়ের সংকল্প নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) আসরে নেমেছে ভারতীয় দল। এগারো বছর আইসিসি আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় মেলে নি সাফল্য। সেমিফাইনাল বা ফাইনালেই গিয়ে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। লাগাতার ব্যর্থতার ছবিতে বদল আনাই লক্ষ্য রোহিত শর্মা’র (Rohit Sharma) দলের। আমেরিকার মাটিতে এখনও অবধি মসৃণভাবেই এগিয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ৫ তারিখ ৮ উইকেটে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো ভারত। নাসাও কাউন্টির নবনির্মিত স্টেডিয়ামে বোলিং মাহাত্ম্যে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও পেসারদের সৌজন্যেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। নজর কেড়েছিলেন বুমরাহ (Jasprit Bumrah), আর্শদীপ, হার্দিকরা।
তৃতীয় ম্যাচেও জয় দিয়েই নিউ ইয়র্ক পর্বে ইতি টানলো দল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গতকাল মাঠে নেমেছিলো টিম ইন্ডিয়া (Team India)। টসজয়ী রোহিত প্রথমে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং-এর আমন্ত্রণ জানান। ১১০ রানে গুটিয়ে যায় আমেরিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে জোড়া উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) ও শিবম দুবের জুটিতে ভর করে আসে ২ পয়েন্ট। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) দারুণ পারফর্ম্যান্স করেছে ভারতের পেস বিভাগ। ৫ উইকেট পেয়েছেন বুমরাহ, ৭ উইকেট পেয়েছেন আর্শদীপ, হার্দিকের ঝুলিতেও ৭ উইকেট। কিন্তু চিন্তা রয়ে গিয়েছে ব্যাটিং নিয়ে। বিশেষ করে মহাতারকা বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ফর্ম কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সমর্থকদের। অতিরিক্ত কোহলি নির্ভরতা কাটানোর সময় কি এসেছে? চলছে চর্চা।
Read More: বন্যায় বিপর্যস্ত ফ্লোরিডা, অনিশ্চিত ভারত-কানাডা দ্বৈরথ, সুতোয় ঝুলে পাকিস্তানের ভাগ্য !!
কোহলি-সঞ্জুর জন্য নিয়ম আলাদা? উঠছে প্রশ্ন-
টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) শুরুর আগে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন সমর্থকেরা। ২০২৪-এর আইপিএলে (IPL) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) জার্সিতে অনবদ্য খেলেছিলেন কোহলি। ১৫ ম্যাচে ৬১.৭৫ গড় ও ১৫৫ স্ট্রাইক রেটে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিলো ৭৪১ রান। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দুটি ভিন্ন আইপিএল মরসুমে ৭০০ বা তার বেশী রানের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপেও (T20 World Cup) তাঁর ব্যাটে বড় রানের আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু বাস্তবে মুখ থুবড়ে পড়েছেন বিরাট (Virat Kohli)। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি করেছিলেন ৪। গতকাল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই উইকেটরক্ষকের হাতে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। খাতাই খুলতে পারেন নি তিনি।
লাগাতার ব্যর্থতার পরেও আগামী ম্যাচে তাঁকে বাদ দেওয়ার কোনোরকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে না ভারতীয় শিবিরের অন্দরে কান পাতলে। পূর্বের পারফর্ম্যান্সের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? কেন বাদ পড়বেন না বিরাট? এই প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন একদল নেটিজেন। তাঁরা সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) উদাহরণ তুলে আনছেন। আইপিএলে ৫৩১ রান করার পর অনেকেই ভেবেছিলেন কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপে সঞ্জুই ভারতের উইকেটরক্ষক হিসেবে প্রথম পছন্দ হবেন। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেন করতে নেমে ১ রান করে আউট হওয়ার পর মূলপর্বে তাঁকে আর মাঠে দেখা যায় নি। একটি মাত্র ব্যর্থতাই যদি সঞ্জুকে (Sanju Samson) বাদ দিতে যথেষ্ট হয়, তাহলে ব্যর্থতার হ্যাট্রিকের পরেও কোন যুক্তিতে রাখা হবে বিরাটকে? এই মর্মে বোর্ডের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগ।