IND vs ENG: হার দিয়েই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু করলেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। হেডিংলেতে প্রথম চার দিন জয়ের আশা জাগিয়েছিলো ভারতীয় শিবির। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়লো তারা। চতুর্থ ইনিংসে স্টোকসবাহিনীর প্রয়োজন ছিলো ৩৭১ রান। মাত্র পাঁচ উইকেট খুইয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে গেলো তারা। ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত জুটি গড়েন বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি। ১৮৮ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন তাঁরা দু’জনে। ৬৩ করে ক্রলি আউট হওয়ার পরেও আক্রমণ জারি রেখেছিলেন ডাকেট (Ben Duckett)। ১৪৯ করেন তিনি। এরপর স্টোকস, রুট, জেইমি স্মিথদের দাপুটে ব্যাটিং-এ সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। ভারতের হারের ময়নাতদন্ত করতে বসে উঠে আসছে বোলিং ব্যর্থতা, হতশ্রী ফিল্ডিং পারর্ম্যান্সের মত একাধিক কারণ।
Read More: ENG vs IND 1ST TEST STATS REVIEW: ভারতকে হারিয়ে ৫ উইকেটে দুরন্ত একটি জয় সুনিশ্চিত করল ইংল্যান্ড, ভাঙলো মোট ১৯ টি রেকর্ড !!
বোলিং বিপর্যয়ের দোসর ক্যাচিং ব্যর্থতা-

জসপ্রীত বুমরাহ’র দিকে গতকাল তাকিয়ে ছিলো ভারতীয় দল। কিন্তু হেডিংলে টেস্টের শেষ দিনে চেনা ছন্দের ধারেকাছেও দেখা গেলো না তাঁকে। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন ডান হাতি পেসার। ৫৭ রান খরচ করলেও পান নি একটি উইকেটও। “বুমরাহ বিশ্বমানের বোলার। প্রথম ইনিংসে ও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ওকে রুখে দিতে পারা আমাদের জন্য বিরাট কৃতিত্ব,” গতকাল ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ওপেনার বেন ডাকেট’ও। বুমরাহ’র ব্যর্থতার দিনে দাগ কাটতে ব্যর্থ অন্যান্য বোলাররাও। প্রথম সেশনে একটি উইকেটও তুলতে পারে নি ভারত। শেষমেশ দ্বিতীয় সেশনের শেষ পর্বে শিকে ছেঁড়ে ভাগ্যে। ক্রলি ও পোপ’কে অল্প সময়ের ব্যবধানে ফেরান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। কিন্তু ততক্ষণের ম্যাচের (IND vs ENG) রাশ চলে গিয়েছে ইংল্যান্ডের হাতে। পিছিয়ে পড়েছে ‘মেন ইন ব্লু।’
চা পানের বিরতির পর শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur) যখন পরপর দুই বলে বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক’কে (Harry Brook) ফেরান তখনও জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো ১১৮ রান। চাপ ধরে রাখতে পারলে আসতে পারত সাফল্য। কিন্তু প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামাতে পারেন নি বুমরাহ-প্রসিদ্ধ-সিরাজরা। প্রথমে স্টোকস ও পরে জেইমি স্মিথকে সাথে নিয়ে ইংল্যান্ডকে বৈতরণী পার করিয়ে দেন জো রুট (Joe Root)। বোলিং ব্যর্থতার পাশাপাশি হেডিংলে টেস্টে বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ ফিল্ডিং ব্যর্থতাও। দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই চারটি ক্যাচ ফস্কেছেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। তাঁর সৌজন্যে জীবন ফিরে পেয়ে ভারতের উপর রানের বোঝা চাপিয়েছেন ডাকেট, পোপ, ব্রুক’রা। সুযোগ হাতছাড়া করেছেন জাদেজাও। তাঁদের ভুলের খেসারত দিতে হলো গোটা দলকে।
শামির অভাব স্পষ্ট ভারতীয় দলে-

ইংল্যান্ড সফরের (IND vs ENG) আঠারো সদস্যের স্কোয়াডে জসপ্রীত বুমরাহ’র পাশাপাশি সামিল করা হয়েছিলো মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আর্শদীপ সিং-দের মত ফ্রন্টলাইন ফাস্ট বোলারদের। এছাড়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে স্কোয়াডে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিলো শার্দুল ঠাকুর ও নীতিশ কুমার রেড্ডি’কে। ভাবা হয় নি মহম্মদ শামি’র কথা। বরং সিরাজ, আর্শদীপদের তারুণ্যেই আস্থা রেখেছিলো নির্বাচক কমিটি। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞতার বিকল্প যে কিছু হয় না তা যেন স্পষ্ট হয়ে গেলো প্রথম টেস্টেই (IND vs ENG)। গতকাল যখন উইকেট তুলতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত, তখন বারবার শামি’র অভাবের কথা উল্লেখ করে শোনা গেলো ধারাভাষ্যকারদের। দেশের হয়ে ৬৪টি টেস্ট খেলেছেন শামি (Mohammed Shami)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৪৪টি উইকেট রয়েছে তাঁর। সঠিক জায়গায় বল রেখে তিনি চাপ সৃষ্টি করতে পারতেন প্রতিপক্ষের উপর, মত বিশেষজ্ঞদের।