IND vs ENG: শেষ দশটি ইনিংসে করেছে মাত্র ১৩২ রান। এই পারফরম্যান্সের পর প্লেয়িং ইলেভেন থেকে সেই খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া উচিত। দলের পরাজয়ের মূল্যে কোনভাবেই তাকে টিমে রাখা উচিত নয়। হ্যাঁ, শুভমন গিলের এই পারফরমেন্সের পর ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সামনে এই প্রশ্ন দৃঢ়ভাবে উঠেছে। হায়দরাবাদ টেস্টে ইংল্যান্ড যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করেছিল এবং আপাতদৃষ্টিতে নিশ্চিত পরাজয়কে জয়ে রূপান্তরিত করে। এরপরই বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। আর এটা দেশের মানুষ শুধু নয়, ক্রিকেট বিশ্বের কিংবদন্তিরা বলছেন। প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনের মতোই পরিষ্কার বলেছেন শুভমান গিলকে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে নেটে সময় কাটানো উচিত।
দলের বাইরে যাবেন শুভমান গিল
যদিও শুভমান গিল তিনটি সাদা বলের ফর্ম্যাটেই প্রায় তার সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছেন, তবুও তিনি টেস্টে ফ্লপ হয়েছেন। হায়দরাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে আবারও হতাশ করলেন গিল। দ্বিতীয় ইনিংসে খাতা না খুলেই আউট হন গিল। এরপর এখন টেস্ট দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮ ইনিংসে ৭৪ রান করেছিলেন গিল। গিল একজন টেকনিকের দিক দিয়ে দক্ষ ব্যাটসম্যান এবং শর্ট বল খেলতেও তার বিশেষ কোন অসুবিধা হয় না। তবে লাল বলের ফর্ম্যাটে গিলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নির্বাচকরা খুব তাড়াতাড়ি তাকে দল থেকে বাদ দিতে পারেন।
গিলের জায়গায় টিমে এন্ট্রি রিংকু সিংয়ের
শুভমান গিলকে প্রথম দলের বাইরে করে দেওয়া হলে তার সঠিক পরিবর্ত হতে পারেন রিংকু সিং। ঘরোয়া ক্রিকেটে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে তার প্রথম শ্রেণীর অভিষেক হয়েছিল, তারপর থেকে তিনি মোট ৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন যার মধ্যে তিনি ৫৭.৫৭ এর দুরন্ত গড় এবং ৭১.২২ এর দুর্দান্ত স্ট্রাইক রেট সহ ৬৫ ইনিংসে ৩১০৯ রান করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ১৬৩* এর সেরা স্কোর সহ ৭টি সেঞ্চুরি এবং ২০টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। সব মিলিয়ে তাই রিংকু গিলের অভাব ভালোই ঢাকতে পারবেন।