IND vs ENG: উপমহাদেশের মাটিতে এর আগে সাফল্যের শৃঙ্গ জয় করেছিলো ইংল্যান্ডের ‘বাজবল।’ দ্রুতগতির ক্রিকেট খেলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ৩-০ জয় পেয়েছিলেন বেন স্টোকসরা। কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়তে হলো ভারতের বিরুদ্ধে। শুরুটা ভালোই করেছিলো ইংল্যান্ড। হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে জয় এসেছিলো ২৮ রানের ব্যবধানে। কিন্তু এর পরেই বদলে যায় সিরিজের অভিমুখ। বিশাখাপত্তনমে হারতে হয় ১০৬ রানের ব্যবধানে। রাজকোটে পরাজয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩৪ রান। এরপর রাঁচীতে ৫ উইকেটে হেরে সিরিজ জেতার সম্ভাবনা শেষ হয় ইংল্যান্ডের। স্বান্তনা পুরষ্কার হতে পারত ধর্মশালায় পঞ্চম টেস্টে জয়। কিন্তু তাও সম্ভব হয় নি স্টোকস বাহিনীর পক্ষে। ব্যাটে-বলে প্রতিপক্ষের সাথে এঁটে উঠতে না পেরে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ইনিংস ও ৬৪ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয় তারা। দেশে ফিরতে হয় ৪-১ ব্যবধানে হেরে।
পাহাড়ঘেরা ধর্মশালায় সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচে টসের মুদ্রা পড়েছিলো ইংল্যান্ডেরই অনুকূলে। প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস (Ben Stokes)। সাধারণত ধর্মশালায় ফাস্ট বোলারদের সাহায্য পেতে দেখা যায়। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত সিরিজে কার্যকরী হলেন স্পিনাররা। কুলদীপ যাদবের পাঁচ উইকেট ও অশ্বিনের ৪ উইকেটে ২১৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জোড়া শতরান করেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। তাঁদের ব্যাটিং বিক্রমে ৪৭৭ রান তুলতে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। ২৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। অশ্বিনের ঘূর্ণিতে কেঁপে গিয়ে থামে ১৯৫ রানে। ধর্মশালার ম্যাচে দেখা গেলো ঘটনার ঘনঘটা। ১০০তম টেস্ট খেললেন অশ্বিন ও বেয়ারেস্টো। ৭০০ টেস্ট উইকেট মালিক হলেন জেমস অ্যান্ডারসন। জড়ালেন শুভমান গিলের সাথে বাগ্বিতণ্ডাতেও। দেশে ফিরে সেই অধ্যায়কে ফিরে দেখলেন কিংবদন্তি পেসার।
Read More: “স্বার্থপর সমাজে ও বিরল…” ক্যাপ্টেন রোহিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অশ্বিন, দিলেন বড় বয়ান !!
শুভমানের সাথে কি কথা হয়েছিলো? জানালেন অ্যান্ডারসন-
ধর্মশালায় অনবদ্য রেকর্ডের মালিক হলেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি জেমস অ্যান্ডারসন। ১৮৭তম টেস্টে তুলে নিলেন ৭০০ উইকেট। প্রথম পেসার ও তৃতীয় বোলার হিসেবে এই কৃতিত্বের অধিকারী হলেন তিনি। ৪১ বছর বয়সেও যেভাবে বল হাতে লম্বা স্পেল করে চলেছেন তিনি, তাতে মোহিত ক্রিকেটবিশ্ব। ভারত বনাম ইংল্যান্ড (IND vs ENG) সিরিজ শেষে দেশে ফিরে টেলএন্ডার্স পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানেই কেরিয়ারের নানা মুহূর্তের কথা উঠে আসে। কথা হয় সদ্যসমাপ্ত ভারত সিরিজ সম্পর্কেও। ফিটনেস সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অ্যান্ডারসন বলেন, “আমার মনে হয়ে আমি এখন শারীরিক সক্ষমতার শীর্ষে রয়েছি। আমি চাইলে বিকেল পাঁচটার সময় ফিরে এসে একই গতিতে বোলিং করতে পারি।”
কথায় কথায় উঠে আসে ধর্মশালা টেস্টে শুভমান গিলের সাথে তাঁর কথার লড়াইতে জড়ানোর প্রসঙ্গও। এর আগে তরুণ ভারতীয় ব্যাটারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, “আমার মনে হয় এই প্রসঙ্গে কথা না বলাই আমাদের দুজনের পক্ষে মঙ্গল।” তবে টেলএন্ডার্স পডকাস্টে গোপনীয়তা রক্ষার পথ মাড়ান নি অ্যান্ডারসন। স্পষ্ট জানিয়েছেন কি হয়েছিলো সেই দিক। ইংল্যান্ড কিংবদন্তি জানান, “আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে ‘তুমি কি আদৌ ভারতের বাইরে রান করেছো?’ ও উত্তরে বলে তোমার সময় হয়েছে অবসর নেওয়ার।” শেষ হাসি যে তিনিই হেসেছিলেন, তা মনে করিয়ে দিতে ভোলেন নি অ্যান্ডারসন। জুড়ে দেন, “…তার দুই বল পরেই আমি ওকে আউট করে দিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত টেস্টে অ্যান্ডারসনের ৬৯৯তম উইকেট ছিলেন শুভমান। ১১০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।