বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিল্ডার টিম ইন্ডিয়ার অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার (Ravindra Jadeja) বাবার একটি সাক্ষাৎকার আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার বাবা অনিরুধ সিং এই সাক্ষাৎকারে ছেলে রবীন্দ্র জাদেজা এবং পুত্রবধূ রিভাবার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। পুত্রবধূ রিভাবার বিরুদ্ধে সংসার নষ্ট করার অভিযোগও তোলেন তিনি।
দিব্য ভাস্করের সাথে কথোপকথনের সময়, রবীন্দ্র জাদেজার বাবা অনিরুধ সিং বলেছেন, “রবি (রবীন্দ্র সিং জাদেজা) বা তার স্ত্রীর (রিভাবা জাদেজা) সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি তার সাথে কথা বলি না এবং সে আমাকে ফোন করে না। রবীন্দ্রের বিয়ের দুই-তিন মাস পর ঝগড়া হয়েছিল। আমি জামনগরে একা থাকি অথচ রবীন্দ্রের আলাদা পঞ্চবটিতে বাংলো আছে।” অনিরুধ সিং জাদেজা সাক্ষাৎকারের সময় পুত্রবধূ রিভাবা সম্পর্কে আরও বলেন, “তিনি প্রতারণা করে পরিবারকে ধ্বংস করেছেন। তিনি একটি পরিবার চান না। সবকিছু বিনামূল্যে হওয়া উচিত। কিছুই নয়, শুধু ঘৃণা।”
অনিরুধ সিং জাদেজা আরও বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে আমরা রবীন্দ্রের মেয়ের মুখও দেখিনি। রবির শাশুড়ি সব সামলান। তার হস্তক্ষেপ খুব বেশি।” তিনি আরও বলেন, “আমারও গ্রামে জমি আছে এবং ২০ হাজার টাকা পেনশন পাই। এতে আমার খরচ মেটে। আমি দুই বিএইচকে ফ্ল্যাটে একা থাকি। আমি নিজের মতো করে জীবনযাপন করি।” এখনও অনিরুধ সিং এই ফ্ল্যাটে ছেলে রবীন্দ্রের ঘরটা সুন্দর করে সাজিয়ে রাখেন।
‘রবীন্দ্রের টাকাকেই ভালোবাসে রিভাবা’
অনিরুধ সিং আরও বলেন, “অনেক পরিশ্রম করে আমরা আমাদের ছেলেকে ক্রিকেটার বানিয়েছি। আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং নয়নাবাকে (রবীন্দ্র জাদেজার বোন) অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। নয়নাবা রবীন্দ্রকে মা হিসেবে বড় করেছেন, বোন নয়, কিন্তু তার সঙ্গেও কোন সম্পর্ক নেই। অনিরুধ সিং আরও বলেন, রিবাবা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ওর রবির সঙ্গে নয়, ওর টাকা নিয়ে চিন্তিত।”
অনিরুধ সিং দাবি করেন, “রবীন্দ্র জাদেজার বিয়ের এক মাসের মধ্যেই হোটেলের মালিকানা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। রিভাবা হোটেলটি নিজের নামে হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন। রবীন্দ্রের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শিল্পপতি সেই বক্তব্যটি ভুল। আমি রবীন্দ্রকে ফোন করি না এবং আমার প্রয়োজনও নেই। আমি কষ্টে কাঁদছি। অনুষ্ঠানে রাখিবন্ধনের দিন বোন নয়নাও কাঁদে।”
কী বললেন রবীন্দ্র জাদেজা?
অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজা নিজেই এই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই অযৌক্তিক সাক্ষাৎকারে যা বলা হয়েছে তার সবই অর্থহীন ও মিথ্যা। একদিক থেকে বলা হয়েছে, যা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। আমার ফ্যান ও আমার স্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা সত্যিই নিন্দনীয় ও অশোভন। আমার কাছে অনেক কিছু বলার আছে কিন্তু যতক্ষণ না আমি এটা প্রকাশ্যে বলি ততক্ষণ ঠিক আছে।”