netizens-cherish-indias-t20-wc-victory

T20 World Cup: ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের হাতে উঠেছিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব। এরপর কেটে গিয়েছে এক দশকেরও বেশী সময়। বারবার সেমিফাইনাল, ফাইনালে গিয়ে আটকেছে টিম ইন্ডিয়ার জয়রথ। গত বছরই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফিরেছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। সেই কারনেই ২০২৪-এর টি-২০ বিশ্বকাপ যেন নিজেদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার লড়াই ছিলো তাঁদের জন্য। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে জান-প্রাণ দিয়ে ট্রফির জন্য ঝাঁপাতে দেখা গিয়েছিলো গোটা দলকে। তরুণ আর্শদীপ সিং হোন বা অভিজ্ঞ জসপ্রীত বুমরাহ, এক সূত্রে যেন নিজেদের গেঁথে ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন দলের সকলে। এক মাসের পরিশ্রমের ফলাফল অবশেষে মিললো আজ বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে। চ্যাম্পিয়নের তকমা অর্জন করে মাঠ ছাড়লো ভারতই।

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা-দুই ফলই ফাইনালে পৌঁছেছিলো কোনো ম্যাচ না হেরে। কাদের অপরাজিত তকমা রক্ষিত হয় আজকের ম্যাচ শেষে, সেদিকেই নজর ছিলো সকলের। টসে জিতে মাঠের পরিসংখ্যান মাথায় রেখে প্রথম ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলো টিম ইন্ডিয়া। শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে তারা। রোহিত, ঋষভ ও সূর্যকুমার যাদব দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। ‘আবার না তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে দল’ আশঙ্কার বাণীতে সেই সময় ভরেছিলো সোশ্যাল মিডিয়া। চলছিলো ঈশ্বরের কাছে সাফল্যের প্রার্থনা। শেষমেশ অক্ষর প্যাটেল ও বিরাট কোহলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দল। ‘দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বাপু বরাবরই ভয়ঙ্কর’ অক্ষরের ৪৭ রানকে কুর্নিশ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন ভক্তকূল। গোটা টি-২০ বিশ্বকাপ রান খরায় কেটেছে কোহলির। সেই তিনিই কিনা ফাইনালে করলেন ৭৬। ‘যেখানে লড়াইটা বড় হয়, সেখানে কিং কোহলিই বুক চিতিয়ে দাঁড়ান’ লিখেছেন এক অনুরাগী।

Read More:“বড় মঞ্চের প্লেয়ার…” মেগা ফাইনালে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে সমাজ মাধ্যমে ট্রেন্ডিং কিং কোহলি !!

প্রতিকূলতার পাহাড় পেরিয়ে ট্রফি জয় ভারতের-

T20 World Cup Final | Image: Getty Images
T20 World Cup Final | Image: Getty Images

শিবম দুবে’র ক্যামিও ভারতকে পৌঁছে দিয়েছিলো ১৭৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ধাক্কা দেন জসপ্রীত বুমরাহ। শুরুতেই ফেরান রিজা হেনড্রিকস’কে। নতুন বল হাতে বুমরাহ যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই টি-২০ বিশ্বকাপে। প্রতিটি ম্যাচেই ‘আনপ্লেয়েবল’ হয়ে উঠেছেন তিনি। এরপর এইডেন মার্করামের উইকেট তুলে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন আর্শদীপ। পেস বোলারদের প্রাথমিক সাফল্যে ফের উচ্ছ্বাসে ভেসেছিলো ভারতের নেটমাধ্যম। ‘জসসি জ্যায়সা কোই নেহি’ বুমরাহ স্তুতিতে মাততে দেখা গিয়েছিলো আট থেকে আশি’কে। কিন্তু এরপরেই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিলেন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবস। জুটি বেঁধে ম্যাচের দাঁড়িপাল্লা ভারসাম্যের অবস্থানে নিয়ে আসেন তাঁরা।

অক্ষরের বলে স্টাবস ফিরলেও ক্রিজে নেমে রণংদেহী মূর্তি ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন। ২৩ বলে আজ ৫০-এর গণ্ডি পেরোন তিনি। ডি কক আউট হওয়ার পরেও মনে হয়েছিলো যে একা ক্লাসেনই দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেবেন। তাঁর বিধ্বংসী ইনিংস ভয় ধরিয়েছিলো ভারতীয় সমর্থকদের মনে। ‘এই অভিশাপ কি আদৌ কাটবে?’ আশঙ্কিত সমর্থকদের ট্যুইট ভাইরাল হতে শুরু করে নেটমাধ্যমে। এই সময়েই মোক্ষম চাল দেন অধিনায়ক রোহিত। আর সাফল্যের ভগীরথ হয়ে আবির্ভাব হার্দিক পান্ডিয়া ও জসপ্রীত বুমরাহ’র। ক্লাসেনকে আউট করে আজ নেটদুনিয়ার নয়নমণি হার্দিক। ‘আইপিএলের ফর্মের জন্য কোনো ক্রিকেটারকে ট্রল আশা করি আর কেউ করবেন না’ লিখেছেন একজন। আর অবিশ্বাস্য বোলিং করা বুমরাহ’র উদ্দেশ্যে নেটিজেনদের বক্তব্য, ‘জাঁহাপনা তুসি গ্রেট হো।’

দেখে নিন ট্যুইট চিত্র-

Also Read: T20 World Cup: বিপর্যয় সামাল দিলো কোহলি ও অক্ষরের ব্যাট, ফাইনালে ভারতের স্কোরবোর্ডে ১৭৬ রান !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *