IPL 2025: ২০২৪-এর আইপিএল (IPL) শেষ হয়েছে গত মে মাসে। পরবর্তী মরসুম শুরু হতে ক্যালেন্ডারের হিসেবে মাস দশেক বাকি থাকলেও ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০২৫-এর আগে রয়েছে মেগা অকশন। সে কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা সাজানো শুরু করে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। দল সাজানো নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কতজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে, কতজনকেই বা রিলিজ করা যাবে তা নিয়ে এখনও বিসিসিআই-এর তরফে কোনো রকম তথ্য দেওয়া হয় নি। রিলিজ-রিটেনশন সহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যই গত ৩১ জুলাই বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো দশ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। বৈঠকে বেশ কিছু দাবী বোর্ডের কাছে রেখেছে দলগুলি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর যে ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটারদের শাস্তি দেওয়ার জন্য বিসিসিআই-এর কাছে আবেদন রেখেছে আইপিএল (IPL) দলগুলি।
Read More: গৌতম কেন সদাই গম্ভীর? সাংবাদিকের প্রশ্নের তুরন্ত জবাব অধিনায়ক রোহিত শর্মা’র !!
নির্বাসনের শাস্তি চেয়ে আবেদন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের-
দলগঠনের সময় এক রকম পরিকল্পনা করে কোনো ক্রিকেটারকে দলে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। কিন্তু মরসুম শুরুর ঠিক আগে তিনি যদি সরে দাঁড়ান তাহলে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হয় তাদের। তড়িঘড়ি কর্মকর্তাদের নামতে হয় বদলির সন্ধানে। ভবিষ্যতে যাতে এমন সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই-এর কাছে কড়া নীতি নেওয়ার দাবী জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
৩১ তারিখের বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে নিলামে দল পাওয়ার পরও চোট বা অন্য কোনো বৈধ কারণ ব্যতীত কোনো ক্রিকেটার যদি সরে দাঁড়ান তাহলে তাঁকে যেন টুর্নামেন্ট থেকে সম্পূর্ণ ভাবে নির্বাসিত করা হয়। অতীতে বেন স্টোকস (Ben Stokes), জো রুট, জেসন রয় (Jason Roy), হ্যারি ব্রুকের মত ক্রিকেটার এভাবে আচমকা সরে দাঁড়িয়েছেন। নয়া নীতি গৃহীত হলে তাঁরা যে সমস্যায় পড়বেন তা নিশ্চিত।
রিলিজ-রিটেনশন নিয়ে রাখা হয়ে প্রস্তাব-
২০২২-এ যখন শেষবার মেগা অকশন হয়েছিলো, তখন চার ক্রিকেটারকে রিটেন বা ধরে রাখার ছাড়পত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে দিয়েছিলো বিসিসিআই। ছিলো না কোনো রাইট টু ম্যাচ বা আরটিএম বিকল্প। কিন্তু ২০২৫-এর আইপিএলের (IPL) মেগা অকশনের আগে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে অন্তত ৫ বা ৬ করার জন্য আবেদন করেছে দলগুলি। একইসাথে সওয়াল করা হয়েছে আরটিএম ফেরানোর জন্যও। মুম্বইয়ের বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH) কর্ণধার কাব্য মারান (Kavya Maran)। তিনি ছয়জন ক্রিকেটারকে ‘রিটেন’ করার দাবী তুলেছেন। রিটেনশন নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। জানান যে ছয় ক্রিকেটার’কে রিটেন করার সুযোগ যদি একান্তই না দিতে পারে বিসিসিআই, সেক্ষেত্রে চার রিটেনশন, দুই আরটিএম অথবা দুই রিটেনশন বা চারটি আরটিএম-এর বিকল্পে আপত্তি নেই তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজির। এরপর বিসিসিআই কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।
IPL অকশন নিয়ে রয়েছে দ্বিমত-
আইপিএলের (IPL) মেগা অকশন আদৌ আয়োজন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা অথবা তা কতদিন ছাড়া আয়োজন করা উচিৎ, এই প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR), চেন্নাই সুপার কিংস (CSK), গুজরাত টাইটান্স (GT), সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH), রাজস্থান রয়্যালসের (RR), মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) মত ফ্র্যাঞ্চাইজি মেগা নয়, বরং মিনি অকশনের পক্ষে। আবার দিল্লী ক্যাপিটালস (DC), পাঞ্জাব কিংস (PBKS), রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB), লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস (LSG) রায় দিয়েছে মেগা অকশনের পক্ষে।
নিলাম সংক্রান্ত আলোচনা চলার সময় মতানৈক্যের কারণে নাইট রাইডার্স মালিক শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) ও পাঞ্জাব কিংস মালিক নেস ওয়াদিয়ার (Ness Wadia) মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয় বলেও খবর মিলেছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের তরফে কাব্য মারান (Kavya Maran) জানান, “দল গঠন করতে প্রচুর সময় লাগে।” মেগা অকশন যদি একান্তই করতে হয় তাহলে তার ব্যবধান তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার দাবী তুলেছেন তিনি।