আইপিএল ২০১৭ঃ মুম্বইয়ের কাছে হেরেও নাইট নেতা গম্ভীর গর্বিত সতীর্থদের নিয়ে, কারণটা কী? জেনে নিন.. 1

আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রেকর্ড একেবারে ভালো নয়। তাই টিম সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচ জয়ের পর খোদ নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর জানিয়ে ছিলেন, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে টিম কলকাতা নিশ্চিতভাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে আইপিএলে তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের পুরানো রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন। বাস্তবে অবশ্য সেটা আর হল না। শুক্রবার চিন্নাস্বামীতে প্রত্যাশামতো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল দশের ফাইনালে চলে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

জনৈক ট্যুইটার ব্যবহারকারি ফিক্সিং’র অভিযোগ ছুঁড়ে দিলেন আইপিএলের দিকে!

ম্যাচের প্রথমেই টসে হেরে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছিল টিম কেকেআর। এরপর ম্যাচের প্রথম ৩১ রানের মধ্যে দলের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যাওয়ায় দেওয়াল লিখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। শেষদিকে ইশাঙ্ক জাগ্গি এবং সূর্যকুমার যাদব ব্যাট হাতে যে চেষ্টাটা চালিয়েছিলেন, সেটা স্কোরবোর্ডে বড় রান সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিল না। মাত্র ১০৭ রানে কেকেআর-এর শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মুম্বইয়ের বোলাররা। একা করন শর্মাই চারটি উইকেট তুলে নিয়ে নাইট ব্যাটিং লাইন আপের কোমর ভেঙে দেন। ম্যাচে নাইটকে কোণঠাসা করতে বল হাতে করনকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন পেসার জসপ্রিত বুমরাহও (৩টি উইকেট)।

এবারের আইপিএলে ভালো শুরু করে সমর্থকদের মনে আশা তৈরি করেছিল টিম কলকাতা। তবে শেষমেশ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আটকে যেতে হল গম্ভীরবাহিনীকে। প্রতিযোগিতায় টিম কেকেআর-এর এমন সমাপ্তি দেখে হতাশ তাদের সমর্থকেরা। চিন্নাস্বামীতে দল প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলেও, নাইট নেতা কিন্তু গোটা মরশুমে দলের ছেলেদের পারফরম্যান্সে দারুণ গর্বিত। ম্যাচ শেষে দলের ছেলেদের প্রশংসায় গম্ভীর বলেন, “শেষ ম্যাচের পর আমরা আলোচনা করেছিলাম, এই উইকেটে ১৬০-১৭০ রান তোলা খুব কঠিন হবে। ম্যাচ জিততে অন্তত ১৪০ রান তুলতেই হবে। কিন্তু শুরুতেই আমরা অনেকগুলি উইকেট হারিয়ে ফেললাম। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ম্যাচে ফেরার কাজটা রীতিমতো কঠিন হয়ে গেল।”

আইপিএল ২০১৭: মুম্বইয়ের কাছে কোয়ালিফায়ারে হেরে সমর্থকদের জন্য আবেগে ভাসলেন গম্ভীর!

গম্ভীর আরও বলেন, “এত সবের পরেও ১০৭ রান মোটেও যথেষ্ট নয় প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দেওয়ার ক্ষেত্রে। যদি স্কোর বোর্ডে ১৪০ রান উঠতো, তাহলে লড়াই করার একটা জায়গা থাকতো। আমরা জানি, ওরা বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। পর পর উইকেট পড়তে থাকায় আমরা ওদের কোনও বোলারকে টার্গেট করে রান তোলার ব্যাপারে জোর দিতে পারিনি। তবে আমরা নিজেদের সাধ্য মতো চেষ্টা করে গিয়েছি। আমরা কোনও শর্ট কাটের রাস্তা ধরিনি। সত্যি বলতে, দলের ছেলেদের জন্য আমি খুব গর্বিত। আর এটাও ঠিক, এ ম্যাচে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছে।”

একটু থেমে গৌতি আরও জুড়ে দেন, “পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, আমরা হয়তো লিগে প্রথম দুই’য়ে শেষ করতে পারতাম। কিন্তু কিংস ইলেভেন পঞ্জাব এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে সামান্যের জন্য হেরে সেটা আর সম্ভব হল না। তারপর এই পরাজয় আমাদের সব আশায় জল ঢেলে দিল। মুম্বই এবং পুণে দলের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইলো। আশাকরি, সেরা দলই এবারের আইপিএলের ট্রফি জিতবে।”

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *