সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় দলের নতুন কোচ হিসাবে রবি শাস্ত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এখনও অবশ্য দলের সাপোর্ট স্টাফদের নিয়োগ নিয়ে অনেক জল ঘোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিরাটদের জন্য ‘টিম ম্যানেজার’ পদের জন্য আবেদন চাইল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। আর এই পদের জন্য আবেদনের শেষ দিন আগামী ২১ জুলাই। এই পদের জন্য এই প্রথম জনসমক্ষে বিজ্ঞাপন দিল বিসিসিআই।

এর আগে ভারতীয় দলের জন্য ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে টিম ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়েছে। এবারও হয়তো সেরকমই হত, কিন্তু সম্প্রতি কমিটি অব অ্যাডমিনিষ্ট্রেটর্স (সিওএ) বিসিসিআইয়ের এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এবং সাম্প্রতীক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে কোনও টিম ম্যানেজার নিয়োগ স্থগিত করে দেয়। পরে অবশ্য কপিল মালহোত্রাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়, এবং বিসিসিআইকে বলা হয়, তারা যেন তাড়াতাড়ি এই পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। পাশাপাশি সিওএ’র প্রধান বিনোদ রাই জানিয়েছেন, রাহুল দ্রাবিড় এবং জাহির খানকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
এখানে দেখুনঃ শীঘ্রই শাস্ত্রী সহ তাঁর সাপোর্ট স্টার্ফদের বেতন নিয়ে আলোচনায় বসবে সিওএ, দেখে নিন কত টাকা পেতে পারেন তাঁরা
টিম ম্যানেজার হিসাবে কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারকেই চায় সিওএ। তবে, বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য এই ধরনের কোনও কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে কোনও দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পদ প্রার্থীকে। বিসিসিআই তরফ থেকে এক বিবৃতিতি বলা হয়েছে, “টিম ম্যানেজার পদের জন্য যারা আবেদন করবেন, যোগ্যতা হিসাবে তাদের, জাতীয় ক্রিকেট দল অথবা বিসিসিআই অনুমোদিত কোনও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসাবে থাকার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা কোনও পাবলিক বা প্রাইভেট সেক্টরে একই পদে অন্তত দশ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।”
বিসিসিআইয়ের পদক্ষেপের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটে এই প্রথম টিম ম্যানেজার হিসাবে আবেদন করতে পারবেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সহ অনান্যরাও। কারণ, এর আগে এই পদের জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধি বাছাই করে নিত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
এখানে দেখুনঃ কোচের পদে রবি শাস্ত্রীর নিয়োগে ক্ষেপে লাল সেহওয়াগের এই কাছের মানুষটি
টিম ম্যানেজার আসলে ঠিক কি কাজ করেন, তাঁর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? তা নিয়ে পরিস্কার কোনও ধারনা ছিল না সাধারন ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। তবে, সাম্প্রতিক অতিতে যখন দলের কোচ অনিল কুম্বলে এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলির মনোমালিন্য প্রকাশ্যে চলে আসে, যার জেরে কোচের পদ থেক ইস্তফা দেন কুম্বলে; তখন বোঝা যায়, টিম ম্যানেজার অনেককিছুই ঠিকঠাক ম্যানেজ করতে পারেননি। বিবাদ মেটানোর জন্য কোনও টিম মিটিংও করতে পারেননি বা অধিনায়ক ও কোচকে মুখোমুখি বসাতেও পারেননি। এখন দেখার বিরাটদের নতুন টিম ম্যানেজারের গুরুদায়িত্ব কার ঘাড়ে পড়ে।
