TOP 3: ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে এক তরুণ ভারতীয় দল পাকিস্তানকে হারিয়ে ট্রফি দেশে এনেছিলো। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে দেড় দশকেরও বেশী। আর টি-২০ বিশ্বকাপ জেতা হয় নি ‘মেন ইন ব্লু’র। বারবার কাছাকাছি গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে দলকে। ২০২২ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে আশা দেখিয়েছিলো ‘টিম ইন্ডিয়া।’ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাঠেও ১০ উইকেটে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ভেঙে গিয়েছে স্বপ্ন। সেমিফাইনাল থেকেই নিদায় নিতে হয়েছে ভারতকে। আগামী বিশ্বকাপের আসর বসবে ২০২৪ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। এখন থেকেই ট্রফিকে পাখির চোখ করেছে ভারতীয় বোর্ড। সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাইরে রেখে জুনিয়রদের নিয়ে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সক্ষম দল বানাতে চাইছে তারা। সেই কারণে টি-২০ বিশ্বকাপের পর রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলি (Virat Kohli), কে এল রাহুলদের (KL Rahul) মত রথী-মহারথীদের বাইরে রেখেই কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে দল সাজাচ্ছে BCCI। নিউজিল্যান্ড সফরের পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও নেতৃত্ব সামলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজেও নেতার ভূমিকায় থাকবেন তিনিই। দলে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার থাকলেও সুযোগ প্রাপ্য ছিলো এই তিন নবীনেরও।
বিদ্ব্যাত কাভেরাপ্পা-

কর্ণাটকের বিদ্ব্যাত কাভেরাপ্পা (Vidwath Kaverappa) ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের আঙিনায় একবারেই নতুন প্রতিভা। কিন্তু আগমনের সাথে সাথেই হইচই ফেলে দিয়েছেন কর্ণাটকের ডান হাতি পেসার। মাত্র ২৩ বছর বয়স তাঁর। গত মরসুমেই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন কর্ণাটকের হয়ে। আর একের পর এক কামাল করে যাচ্ছেন তিনি। ২০২২ সালের বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৮ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। তাঁর বোলিং গড় ১৩.১৭। একদিনের ক্রিকেটে ইকোনমি ৩.৫৩। টি-২০ ক্রিকেটে আরও চমকপ্রদ বোলিং করেছেন তিনি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ৮ ম্যাচে বোলিং করে ১৮ টি উইকেট তুলে নিয়েছেন বিদ্ব্যাত (Vidwath Kaverappa)। হয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। ইকোনমি মাত্র ৬.৩৬। বোলিং গড় ১০.৭২। কুড়ি-বিশের ক্রিকেটের নিরিখে যাকে অভাবনীয় বললেও কম বলা হয়। ইতিমধ্যেই টি-২০ ক্রিকেটে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সৌভাগ্যও হয়ে গিয়েছে তরুণ পেসারের। ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে এখনি বিদ্বাতকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। ‘টিম ইন্ডিয়া’র সেরা বোলিং অস্ত্র জসপ্রীত বুমরাহ ইদানীংকালে বেশ চোটপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। বুমরাহ’র অবর্তমানে আদর্শ বিকল্প হয়ে উঠতে পারেন কাভেরাপ্পা।