তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন ধোনি-

২০০৭-এর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো ভারতীয় দল। তারা ঘুরে দাঁড়ায় টি-২০ বিশ্বকাপে। সিনিয়র তারকাদের অবর্তমানে একঝাঁক তরুণ দক্ষিণ আফ্রিকাতে ইতিহাস গড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। ঐ সাফল্যের পর ওয়ান ডে’তেও অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আধুনিক ক্রিকেটের গতির সাথে মানিয়ে নিতে হলে তরুণদের যে সাদা বলের দুই ফর্ম্যাটে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা বুঝেছিলেন তিনি। সমালোচনার পরোয়া না করেই দল থেকে ছেঁটে ফেলেন একাধিক সিনিয়রকে। বদলে আস্থা রেখেছিলেন সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের উপর।
ধোনি’র সেই সাহসী সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিলো ভারতীয় ক্রিকেটের গতিপথ। ২০১১তে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ‘মেন ইন ব্লু।’ উইনিং স্ট্রোকটি এসেছিলো তাঁর ব্যাট থেকেই। দুই বছর পর ইংল্যান্ডের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জেতে ভারত। একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসি আয়োজিত তিনটি সীমিত ওভারের প্রতিযোগিতাতেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়েন ধোনি। তারুণ্যে আস্থা রাখার যে সিদ্ধান্ত সেদিন নিয়েছিলেন ‘মাহি’ তার সুফল আজও পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। তাঁর পছন্দের রোহিত, কোহলি, জাদেজারা দেড় দশকেরও বেশী সময় দাপটের সাথে খেলে চলেছেন ‘মেন ইন ব্লু’ জার্সিতে।