TOP 3: ভারতে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে কোন খেলা? এই প্রশ্নের উত্তরে শতকরা ১০০ ভাগ মানুষই উল্লেখ করবেন ক্রিকেটের নাম। বাইশ গজের দুনিয়া মাতিয়ে আট থেকে আশি, সকলকে। ১৯৩২ সালে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলো টিম ইন্ডিয়া। লর্ডসে সেদিন কর্ণেল সিকে নাইডু, মহম্মদ নিসারদের প্রতিপক্ষ ছিলো ইংল্যান্ড। এরপর ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার, সুনীল গাওস্কর, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, শচীন তেন্ডুলকরদের জমানা পেরিয়ে হালের আইপিএলে এসে পৌঁছেছে ভারতীয় ক্রিকেট। মাঝে কেটে গিয়েছে নয় দশকেরও বেশী সময়। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে এমন কয়েকজন অধিনায়ক সামলেছেন দলের দায়িত্ব, যাঁদের গুটিকয় সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছে ‘মেন ইন ব্লু’র ভাগ্যই। তেমনই তিন তারকা অধিনায়কের তিনটি মহাগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের হদিশ রইলো এই প্রতিবেদনে।
Read More: অধিনায়ক রোহিত, ব্যাটিং অর্ডারে যশস্বী-শ্রেয়স, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ODI সিরিজের জন্য ভারতীয় দল প্রকাশ্যে !!
বিশ্বকাপ ফাইনালে কপিলের ক্যাচ-

১৯৭৫ ও ১৯৭৯-এর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে শোচনীয় পারফর্ম্যান্স করেছিলো ভারতীয় দল। দুই সংস্করণে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছিলো তারা। সেটাও এসেছিলো দুর্বল ইস্ট আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ১৯৮৩তে তাই ‘মেন ইন ব্লু’কে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন নি কার্যত কেউই। কিন্তু তারাই যখন একের পর এক প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করে পৌঁছেছিলো ফাইনালে, তখন নড়চড়ে বসতে বাধ্য হন সবাই। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ব্যাটিং করে ভারত যখন গুটিয়ে গিয়েছিলো ১৮৩ রানে, তখন হতাশই হয়েছিলেন সমর্থকেরা।
কিন্তু ক্রিকেট যে মহান অনিশ্চয়তার খেলা তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছিলো সেদিন। রান তাড়া করতে নেমে ভালোই এগোচ্ছিলো ক্যারিবিয়ানরা। আগুনে মেজাজে ছিলেন কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস। ঝড় থামাতে মদন লালের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক কপিল দেব। সাফল্য মেলে তাতে। মদন লালের শর্ট পিচ বলে পুল মেরেছিলেন ভিভ। অনেকখানি দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ তালুবন্দী করেন কপিল স্বয়ং। ভারত অধিনায়কের সেই অবিশ্বাস্য ক্যাচেই ঘোরে ম্যাচের গতিপথ। চাপের মুখে ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আক্রমণ। ট্রফি জিতে নেয় ভারত। বাইশ গজের দুনিয়াতেও ভারত যে দাপট দেখাতে পারে সেদিনই তা বুঝেছিলো ক্রিকেটজনতা।