রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) নেতৃত্বে ওডিআই ক্রিকেটের মাধ্যমে ২০০৫ সালে যখন প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলার এস শ্রীশান্ত (S Sreesanth) তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল, তখন তিনি ভারতের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল পেসার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। শ্রীশান্তও খুব প্রতিশ্রুতিশীল ছিলেন এবং তার দ্রুত সুইং বোলিং ব্যাটসম্যানদের জন্য সমস্যা তৈরি করত। কিন্তু শ্রীশান্তের আক্রমণাত্মক ও অভদ্র আচরণ এবং ভুল সঙ্গ তাকে ডুবিয়ে দেয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে জেলের হাওয়া খেতে হয় তাকে। এই কারণেই ২০০৭ টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শ্রীশান্ত আজ বিস্মৃতির জীবনযাপন করছেন।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাতাহাতি করতেন শ্রীশান্ত
২০০৭ সালে ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার কিছু পরেই, মহেন্দ্র সিং ধোনিও (MS Dhoni) ভারতীয় ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব পান। কেরালার এস শ্রীশান্তও ধোনির যুব দলের অন্যতম উদীয়মান মুখ ছিলেন। ধোনিও শ্রীশান্তের বোলিং খুব পছন্দ করতেন কিন্তু মাহি, যিনি সবসময় শান্ত ছিলেন, তার আক্রমণাত্মক স্বভাব খুব একটা পছন্দ করেননি। ম্যাচ চলাকালীন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ওপর প্রচণ্ড স্লেজ করতেন শ্রীশান্ত। এ কারণে অনেক সময় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার প্রচণ্ড তর্কাতর্কি হত। ২০১১ সালে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ধোনি একবার শ্রীশান্তকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
মাহির পরামর্শ উপেক্ষা করেছেন
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাহি বলেছিলেন, “আমি শ্রীশান্তকে বলেছি, আক্রমণাত্মক হওয়া খারাপ কিছু নয়, এরও একটা সীমা আছে, যা অতিক্রম করা উচিত নয়। আপনি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের হয়রানি করার জন্য মন্তব্য করেন কিন্তু এটা যেন আপনার দলকেই বিরক্ত না করে।” এর বাইরেও শ্রীশান্তের মাঠের বাইরের আচরণে ক্ষুব্ধ ধোনি। তবে ভারতীয় দল যখনই কোনো সিরিজ খেলছে, ধোনি ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার শ্রীশান্তকে বুঝিয়ে বললেও তার আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শ্রীশান্ত সম্পর্কে বলা হয়, তিনি সারা রাত পার্টিতে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি দামী গাড়ি এবং ঘড়ি পছন্দ করতেন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। যে কারণে ম্যাচ ফিক্সারদের ফাঁদে পড়েন তিনি। ১৬ মে ২০১৩, যখন তিনি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলছিলেন, দিল্লি পুলিশ তাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য গ্রেপ্তার করে। এতে তার ক্রিকেট কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়।