এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য পরবর্তী টিম ইন্ডিয়া বাছাই করা অনেক দূরের বিষয় (চলতি বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরবর্তী টেস্ট সিরিজ)। তারপরও সেই দলে থাকা একটি নামটি হতে চলেছে সরফরাজ খান। পৃথ্বী শ-এর মুম্বাই দল এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরেছে, কিন্তু মুম্বাইয়ের সরফরাজ খানের (Sarfaraz Khan) জয় গান কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি। এই রঞ্জি ট্রফি মরশুমে ৯০০ রান করে তার দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত রেখেছেন। এর মধ্যে সেঞ্চুরি এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। এভাবে রঞ্জি ট্রফির গত দুই মরশুমেই ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরমেন্স করে চলেছেন তিনি।
ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা সরফরাজের
রঞ্জি ট্রফির ২০১৯-২০ মরশুমে ৯ ইনিংসে ৯২৮ রান করেছিলেন সরফরাজ। ১৫৪.৬৬ গড়ে একটি ট্রিপল সেঞ্চুরিও ছিল সেই রানের তালিকায়। এরপর ২০২১-২২ রঞ্জি ট্রফিতেও সরফরাজের গড় এক সময়ে প্রায় ১৪০ ছিল এবং মুম্বাই তার পরে আরও দুটি ম্যাচ খেলেছিল। সর্বশেষ রেকর্ডটি ছিল ৬ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ১২২.৭৫ গড়ে ৯৮২ রান, যার মধ্যে ৪টি সেঞ্চুরি এবং ২টি অর্ধশতরান রয়েছে। এই মরশুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি এবং তারপরের নাম মধ্যপ্রদেশের রজত পতিদার যিনি ৬৮২ রান করেন। সমান ম্যাচ ও ইনিংস হলেও দু’জনের রেকর্ডে মধ্যে বড় পার্থক্য।
শচীন-গাভাস্কারকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন সরফরাজ
মুম্বাই শহর ব্যাটিংয়ে অনেক শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার তৈরি করেছে – সুনীল গাভাস্কার, শচীন তেন্ডুলকার, বিজয় মার্চেন্ট, অজিত ওয়াদেকর এবং দিলীপ ভেঙ্গসরকার এবং আরও অনেক। কিন্তু তাদের মধ্যে একজনই রকেটের মতো উঠেছিলেন, সরফরাজ খান। রঞ্জি ট্রফি বছরের পর বছর ধরে ভারতে টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় ছিল। তবে বর্তমান ক্রিকেট যুগে একমাত্র রঞ্জি ট্রফির ওপর ভর করে সরফরাজের চেয়ে আগে কেউই টেস্ট অভিষেকের জন্য কেউ দাবিদার হয়ে উঠতে পারেননি।
সুনীল গাভাস্কার এবং শচীন তেন্ডুলকার ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ফর্মে টেস্ট দলে এসেছিলেন। কিন্তু তারা দুজনেই সরফরাজের মতো বিস্ময়কর রেকর্ড তৈরি করতে পারেননি। ভারতের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মরশুমে সর্বাধিক রানের তালিকায় একটি নাম হল ওয়াসিম জাফর। তিনি ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০০৮-০৯ মরশুমে ১৪ ম্যাচে ১৫৪৯ রান করে টেস্ট অভিষেক করেছিলেন। শ্রেয়াস আইয়ার ২০১৫-১৬ মরশুমে ১৩ ম্যাচে ১৪১৪ রান করেছিলেন, যার কারণে তিনি ভারতের সাদা বলের ক্রিকেট দলে থাকার দাবিকে শক্তিশালী করে তোলে। নির্বাচকরা তাকে ২০১২১ সালে সুযোগও দিয়েছিলেন। এবার সেই একই সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় সরফরাজ খান।