গতকাল আবার একবার উপেক্ষিত হলেন ভারতীয় দলের তারকা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। একদা একসময় একইভাবে এক উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়েছিল। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ফিনিশার দিনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) আগে অভিষেক হয়েছিল দীনেশ কার্তিকের, তবে বারবার বিসিসিআই কর্তৃক উপেক্ষিত হয়েছিলেন তিনি। ভালো প্রদর্শন বজায় রেখেও দলের সুযোগ দেওয়া হয়নি তাকে। ঠিক একই ভাবে ভারতীয় দলের অন্য এক উইকেট রক্ষককে উপেক্ষিত করছে বিসিসিআই।
দীনেশ কার্তিকের মতন বারবার উপেক্ষিত হচ্ছেন এই তারকা
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বকাপ ২০২৬ এর জন্য তাদের রোডম্যাপ তৈরি করছে, ভারতীয় দলের হয়ে আগামী দিনে সেরা ১৫ জন খেলোয়াড়কে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাছাই করবেন গুরু গম্ভীর। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গতকাল ম্যাচে আবার একবার উপেক্ষিত হলেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উইকেটরক্ষক হিসেবে প্লেয়িং ইলেভেনে তার বন্ধু ঋষভ পন্থকে অন্তর্ভুক্ত করেন। যদিও এখনও এই সিরিজে আরও ২টি ম্যাচ খেলার বাকি আছে, তাই প্রধান কোচ গম্ভীর কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার বিষয়। সঞ্জুকে ২০২৪ সালের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ দেওয়া হলেও তাকে একটি ম্যাচে খেলানো হয়নি, অন্যদিকে রোহিত শর্মা তার পছন্দের ঋষভ পন্থকে (Rishabh Pant) টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ দিয়েছিলেন।
Read More: “কারো সাহস নেই …”, স্টিং অপারেশনে গোপন তথ্য ফাঁস KL রাহুলের, BCCI কে নিয়ে করলেন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য !!
সঞ্জুকে উপেক্ষা করছে বিসিসিআই
২০১৩ সালে অভিষেক হওয়া সঞ্জু স্যামসনের প্রথম ক্যাপ্টেন ছিলেন এমএস ধোনি (MS Dhoni), প্রথমে তিনি ধোনির নেতৃত্বে উপেক্ষিত হয়েছেন, পরে কোহলি, পন্থ, ধাওয়ান, রোহিত, হার্দিক এবং শেষমেষ সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেও উপেক্ষিত হচ্ছেন সঞ্জু। শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় ওডিআই দলে জায়গা পেলেন না সঞ্জু। তাকেও কার্তিকের (Dinesh Karthik) মতন অবহেলা করা হচ্ছে। ভারত তাদের শেষ ওডিআই সিরিজ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে শতরান হাঁকিয়ে সেরা হয়েছিলেন সঞ্জুই, শেষ ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েও জাতীয় দলে জায়গা হলো না সঞ্জুর।
সঞ্জু ভারতীয় দলের হয়ে দুই ফরম্যাটে অভিষেক করেছেন, ১১ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে খেলেছেন কেবলমাত্র ১৬টি ওডিআই ও ২৮টি টি-টোয়েন্টি। তার ক্যারিয়ারের কথা বলতে গেলে, ১৬ ওডিআই ম্যাচে ৫৬.৬৭ গড়ে ও ৯৯.৬১ স্ট্রাইক রেটে ৫১০ রান বানিয়েছেন। পাশাপশি, ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৪৪৪ রান বানিয়েছেন ২১.১৪ গড়ে ও ১৩৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে।