SA vs IND: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য শচীন তেন্ডুলকারের ১০ নম্বর জার্সিটি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড বেসরকারী এই ঘোষণা করে দেয় যে, এই নম্বরের জার্সি পড়ে আর কাউকে দেখা যাবে না। এটি উল্লেখযোগ্য যে অলরাউন্ডার ক্রিকেটার শার্দুল ঠাকুর যখন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তার অভিষেক ম্যাচে ১০ নম্বর জার্সি পরেছিলেন ফ্যানরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। এই ঘটনায় শার্দুল ঠাকুরের পাশাপাশি বোর্ডও নিশানায় আসে। বিতর্কের পর বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
বিস্তর টানাপোড়েনের পর রিটায়ার হয়েছে ১০ নম্বর জার্সি
কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের ১০ নম্বর জার্সি অবসর নেওয়ার বিষয়ে বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, “এটি অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরি করে এবং খেলোয়াড়দের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। অনানুষ্ঠানিকভাবে সেই সংখ্যাটিকে অবসর দেওয়াই ভালো। যাই হোক, খেলোয়াড়রা ভারত-এ ম্যাচ বা যে কোনও লিস্ট-এ অ-আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০ নম্বর জার্সি পরতে পারেন, তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই নম্বরটি দেখা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, বিসিসিআই ভারতীয় ক্রিকেটের কিছু শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়ের মতামতও চেয়েছিল, যেখানে তারা সবাই জার্সিটিকে অবসর নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে এখন জার্সি নম্বর ১০ সর্বদা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে শচীন তেন্ডুলকারের সাথে রয়েছে যিনি তার ২৪ বছরের কেরিয়ারে এই নম্বরটি পরেছেন।
কপাল পুড়লো জসপ্রিত বুমরাহ’র
শচীনের এই ১০ নম্বর জার্সিটি রিটায়ারের ফলে সব থেকে বড় সমস্যার মুখে জসপ্রিত বুমরাহ’র। আসলে টেস্টের আঙিনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছেন তিনি। আর সেক্ষেত্রে নিজের পছন্দের জার্সিটি পাচ্ছেন না তিনি। উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট, ২০১৭-এ, বোলার শার্দুল ঠাকুর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক করেছিলেন। এরপর ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন তিনি। এরপর তাকে অনেক ঠাট্টা করা হয়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামার সময় ৫৪ নম্বর জার্সি পরেছিলেন শার্দুল। ২০১২ সালে ওয়ানডে থেকে এবং ২০১৩ সালে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর শচীনের জার্সি নম্বরটি কোনও ক্রিকেটার পরেননি।