SA vs AFG: বিশ্বকাপের মঞ্চে ইতিহাস সৃষ্টি করল দক্ষিণ আফ্রিকা আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রথম বারের মতন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা একেবারেই সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হল। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের সামনে মাথা নত করতে ব্যর্থ হল রশিদ খানরা (Rashid Khan)।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা এই সেমিফাইনাল ম্যাচটিকে সম্পূর্ণ একতরফা করে তোলে। প্রকৃত অর্থে বলাই যায় এই সেমিফাইনাল ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের মূল ভিত্তি। এর আগে আইসিসির দুই ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। তবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকান দল।
প্রথম ফাইনালে প্রবেশ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারত কিংবা ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। গায়ানা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ ভারতীয় সময় রাত ৮টা থেকে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে। এই দলের বিজেতার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী ২৯ জুন মুখোমুখি হতে চলেছে।
সেমিফাইনালের কথা বলতে গেলে, ব্যাটিং করতে এসে আফগানিস্তান দলের ইনিংস তাসের ঘরের মতন ভেঙে পড়ে। আফগান অধিনায়ক রশিদ খান (Rashid Khan) এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কাছে বোলিং তুলে দেন। রশিদ খানের এই সিদ্ধান্ত তার নিজের দলের কাল ডেকে আনলো।
৭১ বল বাঁকি থাকতেই জয় সুনিশ্চিত করলো দক্ষিণ আফ্রিকা
মাত্র ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান দল। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (০), ইব্রাহিম জাদরান (২) রান বানিয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান গুলবাদিন নায়েব (৯), মোহাম্মদ নবী (০) ও নাঙ্গিয়াল খারুতি (২) রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতেই পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগান দল। এরপর দলের হয়ে আজমতুল্লাহ ওমরজাই (১০), করিম জানাত (৮), নূর আহমেদ (০), রশিদ খান (৮) এবং নবীন উল হক (২) রানের বিনিময়ে আফগান দল ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায়।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মার্কো জানসেন ও তাবরেজ শামসি ৩টি করে উইকেট নেন এবং রাবাদা ও নোকিয়া জুটি ২টি করে উইকেট নেন। এই রান তাড়া করতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ৮.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান বানিয়ে ফেলে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ওপেনার রিজা হেনড্রিকস (Reeza Hendricks) সর্বোচ্চ ২৯ রান বানান এবং অধিনায়ক এইডেন মার্করাম (Aiden Markram) ২৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে প্রথম ফাইনালে পৌঁছে দেন।