Mohammed Siraj: বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্যতম সেরা স্থানে পৌঁছে দেওয়ার পিছনে সবথেকে বড় যাদের অবদান তারা হলেন ভারতীয় দলের বোলাররা। ভারতীয় দল সব সময় ব্যাটসম্যানদের জন্যই পরিচিতি পেয়ে থাকে, গাভাস্কার (Sunil Gavaskar) থেকে শুরু করে শচীন (Sachin Tendulkar), কোহলি (Virat Kohli) এবং বর্তমান প্রজন্মের দিন বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন গিল (Shubman Gill)। তবে দলের বোলাররা দলকে সঙ্গ দিলেও সেভাবে নাম কামাতে পারেনি কোনো বোলারই। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে দলের ব্যাটসম্যানদেরকে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়ে লড়াই করে চলেছে টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা।
আরও পড়ুন | IPL 2024: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স থেকে জসপ্রিত বুমরাহ’র প্রস্থান রুখেছেন রোহিত শর্মা, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য !!
সাফল্য পেতে অনেক পরিশ্রম করেছেন সিরাজ
মুখ্য পেশার হিসেবে খেলছেন জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) এবং সিরাজ (Mohammed Siraj)। অন্যদিকে বিশ্বকাপ চলাকালীন চোট পাওয়া মোহাম্মদ শামি (Mohammed Shami) আপাতত ক্রিকেটের বাইরেই রয়েছেন। এরই ফাঁকে ভারতীয় দলের পেশার মোহাম্মদ সিরাজ এক বেশ বড় বিবৃতি দিলেন। তার একটা সময় এমন এসেছিল যে তিনি ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। তবে কঠোর পরিশ্রম তাকে অন্যতম সেরা বানিয়েছে। সিরাজ মন্তব্য করে বলেন বলেন “হায়দ্রাবাদ আসলে প্রথমে বাড়ি, তারপর আমি ইদগা ময়দানে যেতে চাই। কারণ, বিশ্বে আমি যেখানেই যাই না কেন, ইদগা ময়দানের মত শান্তি কোথাও পাই না। এখান থেকেই আমি খেলা শুরু করেছিলাম।“
অতীতের কথা স্মৃতিচারণ করলেন সিরাজ
অতীতের স্মৃতি তুলে সিরাজ বলেন, “এমন একটা সময় আসে, যখন আমি প্রায় ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবি। সংসার চালাতে ক্যাটারিংয়ে কাজ করতাম। বাড়ির লোকজন পড়াশুনা করতে বলতো, তবে আমার ওসব দিকে কোনোদিন মন ছিলোনা। ভালো লাগতো শুধু ক্রিকেট খেলতে। ভাড়াবাড়িতে থাকতাম ও বাবাই ছিলেন বাড়ির একমাত্র রোজগেরে। তাই ক্রিকেট থেকে রোজগার হলে ভালো লাগত। ক্রিকেট থেকে যদি ২০০ টাকা আয় হতো, ওটাই আমার মন ভরে দিত। বাড়িতে কিছু টাকা দিতাম ১০০ বা ১৫০। বাঁকিটা নিজের জন্য রাখতাম।“
একসময় খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন সিরাজ। মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি রান্নার কাজও করেছি, একবার তো রুমালি রুটি বানাতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। কষ্ট হয়েছিল, তবে এমন কষ্ট না করলে আমি এখন যেখানে আছে যেখানে কোনোদিনও পৌঁছাতে পারতাম না। ২০১৯-২০ সালে তো ঠিকই করেছিলাম খেলাটাই ছেড়ে দেব। কিন্তু, সত্যি বলতে কী, কঠোর পরিশ্রম করলে কোনওদিন তা বৃথা যায় না। সেদিন ফল না পেলেও, আজ হোক বা কাল, পরিশ্রম আপনার কাজে লাগবেই।“