ভারতীয় দলের সর্বাধিক সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের বক্সিং ডে টেস্ট বাঁচানোর পরে ক্রিকেটের বৃহত্তম ফর্ম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন। বিশ্বজুড়ে তার কয়েক মিলিয়ন ভক্তকে অবাক করেছিলেন। মেলবোর্নে খেলা টেস্ট সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে, ধোনি অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ ড্র করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সমর্থকরা বিশ্বাস করতে পারেননি যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের মাঝামাঝি সময়ে ধোনি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। তার জায়গায় বিরাট কোহলিকে দলের নতুন অধিনায়ক করা হয়েছিল। এই ম্যাচে দলের হয়ে খেলা পেস বোলার ইশান্ত শর্মা মহেন্দ্র ধোনি সম্পর্কে একটি বড় কথা প্রকাশ করেছেন।
রবিচন্দ্রন আশ্বিনের সাথে আলাপকালে ইশান্ত বলেছেন যে, “আমিও সেই ম্যাচে খেলেছি, যা মাহি ভাইয়ের শেষ টেস্ট ছিল। সেই ম্যাচ চলাকালীন আমার হাঁটুতে প্রচুর ব্যথা হয়েছিল এবং প্রতি সেশনে আমি ইনজেকশন নিচ্ছিলাম।” ধোনির অবসর নেওয়ার বিষয়ে ইশান্ত বলেছেন যে, “সে সময় আমাদের কারোর মনেই হয়নি যে সে তার টেস্ট কেরিয়ার ছেড়ে দেবে। ধোনি ভাই অবসর নিয়েছিলেন শুনে আমাদের খুব খারাপ লেগেছিল।”
নিজের ব্যথার কথা বলতে গিয়ে ইশান্ত বলেছেন যে, বারবার ইঞ্জেকশনের কারণে তিনি মন খারাপ করছিলেন। তাই তিনি ধোনির কাছে গিয়ে তাঁকে বলেছেন যে, তিনি আর কোনও ইঞ্জেকশন নিতে পারবেন না। এই নিয়ে ধোনি বলেছিলেন, “ঠিক আছে, এখনই বোলিং করতে হবে না।” এর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ধোনি তাকে বলেছিলন, “লম্বু, তুই আমাকে টেস্ট ম্যাচে একা রেখে দিয়েছিস।” ইশান্তের মতে, তিনি ধোনির কথা ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি।
ধোনির কৃতিত্বের কথা বলতে গেলে তিনি ভারতের হয়ে ৯০ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এমনকি তিনি যে চাইলেই আরো টেস্ট ম্যাচ খেলে তা ১০০-তে পৌঁছাতে পারতেন, কিন্তু এই রেকর্ড সম্পর্কে তিনি কিছু ভাবেননি এবং অবসর ঘোষণা করলেন। ধোনি বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক যিনি তাঁর অধিনায়কত্বে তিনটি আইসিসি ট্রফি অর্জন করেছেন। তার অধিনায়কত্বের অধীনে ভারত ২০০৭ সালে টি- ২০ বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। এছাড়াও ধোনির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো এক নম্বর টেস্ট দল হয়ে ওঠে টিম ইন্ডিয়া।