IPL 2025: প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের (IPL) প্লে-অফে পা রেখেছিলো গুজরাত টাইটান্স (GT)। প্রথম দল হিসেবে নক-আউট পর্ব থেকে ছিটকেও গেলো তারা। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস ও চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে লীগ পর্বের শেষ দু’টি ম্যাচে পরপর হার খানিক চাপে রেখেছিলো শুভমান গিলদের (Shubman Gill)। শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচেও সেই জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারলেন না তাঁরা। টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। রোহিত শর্মা, জনি বেয়ারেস্টোদের (Jonny Bairstow) বিস্ফোরক ইনিংসের সৌজন্যে ২২৮ রান স্কোরবোর্ডে তোলে মুম্বই। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই অধিনায়ক শুভমানকে খুইয়েছিলো গুজরাত। কিন্তু লড়াই থেকে সরে নি তারা। চেষ্টা চালিয়ে যান সাই সুদর্শন, ওয়াশিংটন সুন্দরেরা। কিন্তু যথেষ্ট হয় নি তা। লক্ষ্য থেকে ২১ রান দূরেই থামতে হয় তাঁদের।
Read More: পাঞ্জাবকে হারাতেই ভাইরাল ‘ছাভার’ ডায়লগ, বিপক্ষের ক্ষতে ‘নুন’ দিলো RCB !!
যন্ত্রণার ভাগীদার খেলোয়াড়দের পরিবারও-

গোটা মরসুম দারুণ ধারাবাহিক ছিলো গুজরাত টাইটান্স (GT)। দীর্ঘ সময় তারা ছিলো পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে এলিমিনেটর থেকে ছিটকে যেতে হলো তাদের, তা মেনে নিতে পারছেন না দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়’ই। গতকাল ৪৯ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাই সুদর্শন (Sai Sudharsan)। তবুও বৈতরণী পার করাতে পারেন নি দলকে। খেলা শেষে সাজঘরে তাঁকে দেখা গেলো হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বসে রয়েছেন। থমথমে মুখে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সাথে হাত মেলান অধিনায়ক শুভমান গিল’ও (Shubman Gill)। গত বছর আট নম্বরে শেষ করার পর এবার ট্রফি জিততে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গতকালের ব্যর্থতা চুরমার করেছে সেই স্বপ্নও। ওয়াশিংটন সুন্দর, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খানদের শরীরী ভাষাতেও স্পষ্ট ছিলো যন্ত্রণা।
গুজরাত (GT) ড্রেসিংরুমের মতই অন্ধকারে ডুবেছিলো মুল্লানপুরের গ্যালারিও। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসেছিলেন ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের। খেলা শেষে শুভমান গিলের (Shubman Gill) দিদি শাহনীল গিল (Shahneel Gill), গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজির মিডিয়া প্রেজেন্টার তন্বি শাহ’দের দেখা গেলো শূন্য দৃষ্টিতে মাঠের সবুজ ঘাসের দিকে চেয়ে থাকতে। ছিলেন গুজরাত টাইটান্স (GT) কোচ আশিষ নেহরার পুত্র আরুষ’ও। হতাশা স্পষ্ট ছিলো তাঁর মুখভঙ্গিতেও। হারলেও দলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক শুভমান। সাক্ষাৎকারে বলেন, “দারুণ একটা ম্যাচ হলো। আমরা শেষ অবধি লড়াই করেছি। তিনখানা সহজ ক্যাচ ছাড়ার পর মোটেই ব্যাপারটা সহজ ছিলো না। এই মরসুমে অনেক কিছু ইতিবাচক ছিলো। শুধু শেষ ২-৩ ম্যাচই পক্ষে গেলো না।”
গুজরাতের হারে ভিলেন কুশল-

জস বাটলারের (Jos Buttler) বদলি হিসেবে শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিসকে (Kusal Mendis) সই করিয়েছিলো গুজরাত টাইটান্স। গতকাল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচে ‘ভিলেন’ হয়ে উঠলেন তিনিই। দস্তানা হাতে বেশ নড়বড়ে দেখালো তাঁকে। একের পর এক সহজ ক্যাচ হতাছাড়া করলেন স্টাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে। ডোবালেন ব্যাট হাতেও। তিন নম্বরে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন। ১টি চার ও ২টি ছক্কাও হাঁকান। দ্রুত পৌঁছে গিয়েছিলেন ২০ রানে। কিন্তু এরপর মিচেল স্যান্টনারকে স্যুইপ মারতে গিয়ে বড়সড় ভুল করে বসেন তিনি। তাঁর ব্যাকফুট সটান আছড়ে পড়ে স্টাম্পের উপর। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হিট-উইকেট হয়ে ফিরতে হয় কুশল’কে। গতকালই আইপিএলের (IPL) আসরে প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটার। অভিষেক যে স্মরণীয় হলো না তা বলাই বাহুল্য।