IPL 2025: বৃষ্টি হতে পারে-এই আশঙ্কায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো আহমেদাবাদে। হাজার চেষ্টা করেও আবহাওয়ার রক্তচক্ষু এড়ানো সম্ভব হলো না বিসিসিআই-এর পক্ষে। সেই বৃষ্টিই হয়ে দাঁড়ালো পথের কাঁটা। সন্ধ্যে ৭টা ৩০ থেকে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিলো। শেষমেশ মাঠ শুকোনোর পর যখন খেলা শুরু করা গেলো তখন ঘড়ির কাঁটা ছুঁয়েছে রাত ৯টা বেজে ৪৫ মিনিট। সোয়া দুই ঘন্টা নষ্ট হলেও ওভার কমে নি খেলার। টসে জিতে প্রথম বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব (PBKS)। সূর্য, তিলক, নমন ধীরদের চেষ্টায় ২০৩ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছিলো মুম্বই (MI)। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে দুই ওপেনারকে হারিয়েও লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন জস ইংলিস, নেহাল ওয়াধেরারা। দুরন্ত অর্ধশতক করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন শ্রেয়স আইয়ার।
Read More: “আমি রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব নই..”, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ছবি বিতর্কে এবার মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গুলী !!
কথা রাখলেন শ্রেয়স, জেতালেন পাঞ্জাবকে-

তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খেয়েছিলো পাঞ্জাব কিংস (PBKS)। ৯ বলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার প্রভসিমরণ সিং। ট্রেন্ট বোল্টের (Trent Boult) বলে রিস টপলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। আরেক ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য শুরুটা বেশ ভালো করলেও এগোতে পারেন নি বেশীদূর। ১০ বলে ২০ রান করে অশ্বিনী কুমারকে উইকেট উপহার দেন তিনি। ক্যাচ তালুবন্দী করেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। পাওয়ার-প্লে’তে জোড়া উইকেট হারিয়ে বসা ‘কিংস’ শিবিরকে ভরসা যোগায় জশ ইংলিসের (Josh Inglis) ব্যাট। জসপ্রীত বুমরাহ’র বিরুদ্ধে পালটা আঘাতের পথে হাঁটেন তিনি। ভারতীয় পেস মহাতারকার এক ওভারে জোড়া ছক্কা ও জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ছিনিয়ে নেন ২০ রান। শেষমেশ ২১ বলে ৩৮ করে তিনি আউট হলেও দলকে দাঁড় করিয়ে যান শক্ত ভিতের উপর।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর সাক্ষাৎকারে পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) জানিয়েছিলেন, “আমরা কেবল একটা লড়াইতে হেরেছি। যুদ্ধ হারি নি।” তা যে শুধু কথার কথা ছিলো না আজ ব্যাট হাতে নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি। যখন নেমেছিলেন, তখন বেশ চাপে ছিলো দল। শেষ অবধি ক্রিজে টিকে থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মুম্বইয়ের ব্যাটার। ইংলিস আউট হওয়ার পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) প্রাক্তনী নেহাল ওয়াধেরার (৪৮) সাথে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। শেষমেশ মার্কাস স্টয়নিসকে সাথে নিয়ে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন শ্রেয়স। ৫ চার ও ৮ ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত রইলেন ৪১ বলে ৮৭ রান করে। গত বছর নাইট রাইডার্স অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল (IPL) জিতেছিলেন তিনি। এবার পাঞ্জাবের জার্সিতে খেতাব জয় থেকে আপাতত এক কদম দূরে তিনি।
নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে IPL-

মুম্বইয়ের হয়ে আজ বল হাতে বিশেষ সুবিধা করতে পারেন নি কেউই। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৮ রান খরচ করেছেন। পেয়েছেন ১টি উইকেট। সাফল্যের ঝুলি শূন্য জসপ্রীত বুমরাহ’র। ৪ ওভারে স্বভাববিরুদ্ধ ভাবেই ৪০ রান খরচ করেছেন তিনি। রিস টপলির পরিসংখ্যান ৩-০-৪০-০। অশ্বিনী কুমার ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে বিলিয়েছেন ৫৫ রান। তাঁকে এক ওভারে চার ছক্কা মেরেই পাঞ্জাবকে জয় এনে দেন শ্রেয়স (Shreyas Iyer)। ৩ তারিখ ফাইনালে ফের একবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে তাঁরা। পাঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু-দুই ফাইনালিস্ট’ই এখনও অবধি আইপিএল (IPL) জেতে নি একবারও। প্রীতি জিন্টার দল ২০১৪-তে রানার্স আপ হয়েছিলো। তিন বার তীরে এসে তরী ডুবেছিলো বেঙ্গালুরুর। চোকার্স তকমা প্রথম কে ঝেড়ে ফেলতে পারেন সেদিকেই সকলের নজর থাকবে মঙ্গলবার।