IPL 2024: চলতি আইপিএল ২০২৪-এর অষ্টম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তুখোড় পারফরমেন্সের ওপর ভর করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৩১ রানে হারিয়ে দিল। এই টুর্নামেন্টে এটি হায়দরাবাদের প্রথম জয় এবং সেই সঙ্গে তারা অনেক রেকর্ড গড়ে নিয়েছে। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে দলটি আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর করে। হায়দরাবাদ দল ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে যার জবাবে মুম্বাই ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করতে পারে। এই জয়ে হায়দরাবাদ পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছে এবং মুম্বাই টানা দুই ম্যাচ হেরে নবম স্থানে পৌঁছেছে। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে এ দিন দাঁড়াতেই দিল না হায়দরাবাদ শিবির।
দেখে নিন এই ম্যাচের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে:
হায়দরাবাদের হয়ে দুর্দান্ত শুরু ট্র্যাভিস হেডের
এ দিন ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ব্যাটিং ওপেন করতে আসা ট্রাভিস হেড জোরালো পারফরম্যান্স করে দেখান। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে প্রথম উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আগরওয়াল। তবে নিজের মারকুটে ব্যাটিং জারি রেখে মুম্বাই বোলারদের নাস্তানাবুদ করে দেন অজি খেলোয়াড় হেড।
আগুনে ব্যাটিং অভিষেক শর্মার
তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে অভিষেক শর্মা হেডের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। ২৪ বল মোকাবেলা করে হেড নয়টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৬২ রান করেন। ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। একই সময়ে অভিষেক শর্মা ২৭৩.৯১ স্ট্রাইক রেটে তিনটি চার ও সাতটি ছক্কা মারেন। হায়দরাবাদের বোলারদের টার্গেট করে ২৩ বলে ৬৩ রান করেন তিনি।
ক্লাসেন ও মার্করামের মধ্যে ১১৬ রানের জুটি
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এই ম্যাচে হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা বলের চামড়া তুলে দেন। হেনরিক ক্লাসেন এবং এইডেন মার্করামের মধ্যে ১১৬ রানের অপরাজিত জুটি দলকে ২৭৭ রানে নিয়ে যায়। মার্করাম ২৮ বল মোকাবেলা করে ৪২ রান করেন এবং হেনরিক ক্লাসেন ৩৪ বলে ৮০ রান করেন ২৩৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে। এই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে চারটি চার ও সাতটি ছক্কা। মুম্বাইয়ের হয়ে একটি করে উইকেট পান হার্দিক পান্ডিয়া, জেরাল্ড কোয়েটজি ও পীযূষ চাওলা।
মুম্বাইয়ের হয়ে দ্রুত রান তোলের রোহিত-ইশান
হায়দরাবাদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল মুম্বাই। রোহিত শর্মা ও ইশান কিশানের মধ্যে প্রথম উইকেটে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ ছিল যা শাহবাজ আহমেদ ভেঙে দেন। তিনি চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ইশান কিষাণকে আউট করেন যিনি ১৩ বলে ৩৪ রান করতে সক্ষম হন। একই সময়ে, রোহিত শর্মাও পঞ্চম ওভারে ২৬ রান করে ফিরে যান।
লড়াই চালান তিলক ভার্মা
তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা নমন ধীরও পিছিয়ে ছিলেন না। তৃতীয় উইকেটে তিলক ভার্মার সঙ্গে ৮৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন তিনি। ১১তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন জয়দেব উন্দাকাট। নামানকে কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন যিনি ৩০ রান করতে পারেন। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ৬৪ রান করার পর প্যাভিলোয়নে ফেরেন তিলক ভার্মা। তিনি ১৮৮.২৩ স্ট্রাইক রেটে দুটি চার ও ছয়টি ছক্কা মারেন।
৩১ রানে ম্যাচ জেতে হায়দরাবাদ
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে আসা হার্দিক পান্ডিয়াও বিশেষ কিছু দেখাতে পারেননি। ২০ বলে মাত্র ২৪ রান করতে পারেন তিনি। এই সময়ে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১২০। যেখানে, টিম ডেভিড এবং রোমারিও শেফার্ড যথাক্রমে ৪২ এবং ১৫ রান করার পর এই ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন। শরগ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে শেষ হয় মুম্বাইয়ের যাবতীয় লড়াই। হায়দরাবাদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ক্যাপ্টেন কামিন্স ও জয়দেব উনাদকাট। একই সঙ্গে শাহবাজ আহমেদ সাফল্য পান।