IND vs AUS: পার্থ-এর সাফল্য্ আশা জাগিয়েছিলো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সেই দাপট ধরে রাখতে পারলো না ভারত (IND vs AUS)। তৃতীয় দিনের সকালেই মাঠ ছাড়তে হলো পরাজয়ের গ্লানি মাথায় নিয়ে। প্রথমে ইনিংসে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) তোলা ১৮০-র জবাবে ৩৩৭ রান তুলেছিলো ব্যাগি গ্রিন বাহিনী। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন কোহলি-রোহিতরা (Rohit Sharma)। নীতিশ কুমার রেড্ডি’র (Nitish Kumar Reddy) সৌজন্যে ইনিংসে হার এড়ানো গেলেও প্রতিপক্ষকে ১৯ রানের বেশী লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিতে পারে নি ‘মেন ইন ব্লু।’ বিনা বাধায় তা টপকে যান ম্যাকস্যুইনি ও খোয়াজা। আপাতত বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (BGT) ফলাফল ১-১। অপটাস স্টেডিয়ামের অনবদ্য জয়ের পর অ্যাডিলেড ওভালে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়লো কেন দল? বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় উঠে এলো তিনটি কারণ।
Read More: IND vs AUS 2nd Test: গোলাপি বলে দাপট অস্ট্রেলিয়ার, অ্যাডিলেডের দ্বৈরথে তৈরি হলো ১১ টি নয়া রেকর্ড !!
প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত-
পরিবেশ-পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও একবার প্রমাণিত হলো অধিনায়ক রোহিত শর্মা’র (Rohit Sharma) অদক্ষতা। এর আগে কেনিংটন ওভালে ২০২৩-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) ফাইনাল ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক বেঙ্গালুরু টেস্টে মেঘলা আবহাওয়ায় টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করে ডুবেছিলো টিম ইন্ডিয়া (Team India)। অ্যাডিলেডে একই রকম আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও প্রথমে ব্যাটিং-ই বেছে নেন রোহিত। ফলত কঠিন পরিস্থিতিতে স্টার্কের স্যুইং-এর মোকাবিলা করতে হয় ব্যাটারদের। গোলাপি বলের বিপক্ষে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেন নি যশস্বী (Yashasvi Jaiswal), রাহুলরা। যখন অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং-এ আসে, ততক্ষণে রোদ উঠে গিয়েছে আকাশে। ফলে অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে পড়েছিলো ব্যাটিং। এই নিয়ে টানা চারটি টেস্ট হারলেন ‘ক্যাপ্টেন’ রোহিত। তাঁর নেতৃত্বের দিকে আঙুল উঠতে বাধ্য এবার।
মহাতারকাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা-
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং সাম্প্রতিক অতীতে বারবার ভুগিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। বাংলাদেশ বা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেন নি কোহলি, রোহিত শর্মা’রা। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হবে ছবিটা। চলতি বছরে ৮টি টেস্টে মাত্র ২৬.৬৪ গড়ে ৩৭৩ রান করেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। পার্থ-এর শতরান বাদ দিলে আরও শোচনীয় দেখায় সংখ্যাগুলি। রোহিতের (Rohit Sharma) গড় ২৭.১৩। ১২ টেস্টে সংগ্রহ ৫৯৭ রান। শেষ ১২ ইনিংসে একটিও শতরান নেই। মন্দের ভালো শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ। তাঁদের ব্যাটিং গড় যথাক্রমে ৪৫.৫২ ও ৩৯.১৫। ৫০-এর উপর ব্যাটিং গড় কেবল যশস্বী জয়সওয়ালের। সেই একই সমস্যা দেখা গিয়েছে অ্যাডিলেডেও। দুই ইনিংসে রোহিত করেছেন যথাক্রমে ৩ ও ৬। কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ৭ ও ১১। রাহুল, শুভমান-সাফল্য পান নি কেউই। পর্যাপ্ত রানের অভাবই ডুবিয়েছে সদ্যসমাপ্ত টেস্টে।
গোলাপি বলে অনুশীলনের অভাব-
লাল বা সাদা বলের বিরুদ্ধে খেলার জন্য যে স্ট্র্যাটেজি প্রয়োজন তার সাথে গোলাপি বলের গেমপ্ল্যানের বিশেষ মিল নেই। গোধূলি বেলায় ব্যাটিং-এর জন্য বিশেষ অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। গোলাপি বলের ল্যাকার ও সিমের তারতম্যের কারণে বোলিং-এর স্ট্র্যাটেজিও ভিন্ন হয় লাল বা সাদা বলের সাথে। এইসব বিষয়গুলি ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পায় নি টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দুই বছর পর দিন-রাতের টেস্ট খেললো তারা। প্রস্তুতি হিসেবে কেবল অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী একাদশের সাথে একটি অনুশীলন ম্যাচ’ই খেলার সুযোগ পেয়েছিলো দল। সেখানেও বৃষ্টির কারণে দুই দিন নয়, বরং এক দিন অভ্যাসের সুযোগ ছিলো। অস্ট্রেলিয়ার মত দল, যারা নিয়মিত পিঙ্ক বল টেস্টে অংশ নেয়, তাদের বিরুদ্ধে (IND vs AUS) এই একদনের প্রস্তুতি কখনোই যথেষ্ট নয় বলে মতামত বিশেষজ্ঞমহলের। পিঙ্ক বল টেস্ট বাড়ানোর দাবী তুলেছেন অনেকে।
Also Read: IND vs AUS 2nd Test: “মিথ্যা বলছে ট্র্যাভিস হেড…” বিস্ফোরক বয়ান সিরাজের, উস্কে দিলেন বিতর্কের আগুন !!