ক্রিকেটের দুনিয়ায় অসংখ্য ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির। এই খেলোয়াড় ভারতীয় দলকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনবার আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতিয়েছেন। নিজের অধিনায়কত্বের স্কিল নিয়ে নিয়মিত শিরোনামে থাকা ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এই মুহূর্তে বড় সমস্যায় ফেঁসে গিয়েছেন। বিহারের বেগুসরায়জেলার সিজিএম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভূক্ত করা হয়েছে। এই এফআইআরে ধোনি ছাড়াও অন্য আটজন ব্যক্তিরও নাম রয়েছে।
পুরো ঘটনাটি কী?
এই এফআইআরটি বিহারের বেগুসরায় জেলার আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রূম্পা কুমারীর বেঞ্চে ডিএস এন্টারপ্রাইজেসের প্রপরাইটার নিরজ কুমার নিরালার তরফে করা হয়েছে। এই মামলাটি ৩০ লাখ টাকার চেক বাউন্সের। আসলে নিরজের দাবি যে ২০২১ সালে বেগুসরায়তে অবস্থিত তার কোম্পানি ডিএস এন্টারপ্রাইসেজ সার উৎপাদক কোম্পানি গ্লোবাল ফার্টিলাইজার ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি বিশেষ প্রোডাক্টের বিক্রির জন্য চুক্তি করেছিল।
চেক বাউন্স হওয়ায় কোম্পানি গা করেনি
অন্যদিকে এই কোম্পানি এজেন্সিকে সার তো পাঠিয়ে দিয়েছিল কিন্তু মার্কেটিংয়ের জন্য সহযোগীতা করেনি। এজেন্সির মালিক নীরজ কুমার নিরালা জানিয়েছেন যে কোম্পানির অসহযোগীত্আর ফলে তাদের লোকসান হয়েছে। পরে অভিযোগ করায় কোম্পানি এজেন্সির কাছে আটকে থাকা মাল ফেরত তো নিয়ে দেন আর বদলে ৩০ লাখ টাকার চেক দেয়। যখন এই চেক ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয় তখন তা বাউন্স করে। এর সূচনা কোম্পানিকে দেওয়া সত্ত্বেও তারা গা করেনি। ফলে নিরজ কুমার নিরালাকে কোর্টের দারস্থ হতে হয়।
এমএস ধোনি করেছিলেন বিজ্ঞাপণ
অন্যদিকে এই কোম্পানির প্রোডাক্টের জন্য বিজ্ঞাপণ করেছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর ফলে ধোনিও এই কেসে জড়িয়ে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত নীরজ কুমার নিরালা এমএস ধোনির পাশাপাশি কোম্পানির অন্য আটজনের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় কোম্পানির সিইও রাজেশ আর্য, স্টেট হেড অজয় কুমার, মার্কেটিং হেড অর্পিত দুবে, এমডি ইমরান জাফর, মার্কেটিং ম্যানেজার বন্দনা আন আর ডিরেক্টার মহেন্দ্র সিংয়ের নাম শামিল রয়েছে। আইপিসি ধারা ৪০৬, ১২০বি আর এনআই অ্যাক্ট ১৩৮ এর অধীনে সকলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই কেসের আগামী শুনানি ২৮ জুন হবে।