২০২২-এর ইংল্যান্ড সফরে পিঠে চোট পেয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে তড়িঘড়ি মাঠে ফিরতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়। এক বছরের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছিলো তাঁকে। মাঠে ফেরেন ২০২৩-এর অগস্ট মাসে। এরপর বুমরাহকে (Jasprit Bumrah) বেছে বেছে ম্যাচ খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিসিসিআই। এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্ট খেললেও একাধিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে। ২০২৪-এর শেষে অস্ট্রেলিয়াতে টানা পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। সেই ধকলও সহ্য করতে পারে নি তাঁর শরীর। ফের পিঠে চোট পান তারকা পেসার। প্রায় তিন মাস মাঠ থেকে দূরে থাকতে হয়েছিলো তাঁকে। খেলতে পারেন নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আইপিএলের কিছু ম্যাচেও তাঁকে পায় নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করতে চাইলে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টে জোর দিতে হবে বুমরাহ’কে (Jasprit Bumrah), স্পষ্ট জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Read More: নরেন্দ্র মোদীর বার্তা আসতেই বন্ধ এশিয়া কাপের ভারত-পাক ম্যাচ, বয়কটের ঘোষণা তারকাদের !!
বুমরাহ’কে নিয়ে সতর্ক টিম ম্যানেজমেন্ট-

এই মুহূর্তে ভারত তথা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফাস্ট বোলার যে জসপ্রীত বুমরাহ’ই (Jasprit Bumrah), তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও মনে। কিন্তু চিন্তা তাঁর চোটপ্রবণতা নিয়ে। বোলিং বিভাগের সেরা অস্ত্রকে তরতাজা রাখার জন্য তাই তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বোর্ড। পাঁচ টেস্টের সিরিজে সবক’টি ম্যাচে ডান হাতি পেসারকে খেলানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা। বরং তিনটি ম্যাচেই তাঁকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। সেইমত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিডসে খেলার পর এজবাস্টনে বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। এরপর লর্ডস ও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে একটানা দু’টি টেস্টে মাঠে নামেন। দল পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ওভালে পঞ্চম ম্যাচটিতে তাঁকে নামানোর ঝুঁকি নেন নি কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। তিনি পেস আক্রমণ সাজিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাদের রেখে।
একটানা খেলে চলেছেন মহম্মদ সিরাজ-

বুমরাহ’কে (Jasprit Bumrah) যেখানে কার্যত ‘তুলোর বাক্সে’ রাখছে ‘মেন ইন ব্লু,’ সেখানে সম্পূর্ণ উলটো ছবি দেখা যাচ্ছে মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj) ক্ষেত্রে। গত এক-দেড় বছরে তিন ফর্ম্যাটেই লাগাতার দেশের হয়ে বোলিং করে চলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াতে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি চলাকালীন পাঁচটি টেস্টেই খেলেছিলেন হায়দ্রাবাদের পেসার। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫৭.১ ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি। একই ছবি দেখা গিয়েছে ইংল্যান্ডেও। পেস আক্রমণের বাকি সদস্যদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করেছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। কিন্তু পাঁচটি ম্যাচেই টিম লিস্টে ছিলো মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj) নাম। চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত ১৩৯ ওভার বোলিং করেছেন তিনি। যা ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওভালে শেষ টেস্টের পর এই সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
ওয়ার্কলোড নিয়ে ভাবছেন না সিরাজ-

২০২৩-২০২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ৫২৭.১ ওভার বোলিং করেছিলেন মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)। ৩১.৭৯ গড়ে নিয়েছিলেন ৬২টি উইকেট। মোট ওভারের সংখ্যাও তাঁর ধারেকাছেও আসবেন না অন্যান্য ভারতীয় ফাস্ট বোলাররা। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মত পেস সহায়ক পিচে তিনি যেমন বোলিং করেছেন, তেমন ভারতের প্রাণহীন পিচেও নাগাড়ে হাত ঘুরিয়েছেন। দেশের স্বার্থে হাতে তুলে নিয়েছেন লাল বল। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ভাবত রাজী নন হায়দ্রাবাদের তারকা। সম্প্রতি বলেছেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি এখনও পর্যন্ত ফিট ও সুস্থ রয়েছি। হ্যাঁ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ওয়ার্কলোডের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। সিরাজ কত ওভার বোলিং করেছে তা সেখানে লেখা থাকবে। কিন্তু তার পরেও আমি কেবল সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দেশের জন্য ম্যাচ জিততে চাই।”
Also Read: IND vs ENG 5th Test: করুণ-ওয়াশিংটনের জুটি লড়াইতে রাখলো ভারতকে, প্রথম দিনের শেষে সংগ্রহ ২০৪ !!