আইপিএল ২০২২-এর (IPL 2022) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল। এই জয়ের ফলে ১৪ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠল রাজস্থান। দলের হয়ে ঝড়ো শতরান করেন জস বাটলার (১০৬)। মারকুটে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তার আগে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং ওবেদ ম্যাককয় রাজস্থানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং দেখিয়েছিলেন। এই দুই বোলারই নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২৯ মে ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে রাজস্থান।
শুরু থেকে মারকুটে মেজাজে ছিলেন বাটলার
রাজস্থানের হয়ে এ দিন ওপেন করতে আসেন যশস্বী জয়সওয়াল ও জস বাটলার। তবে জয়সওয়াল মাত্র ২১ রান করে আউট হন। তিনি ১৩ বল মোকাবেলা করে ২টি চার ও একটি ছক্কা মারেন। যদিও বাটলার শেষ পর্যন্ত থাকেন এবং তিনি মারকাটারি ব্যাটিং করেন। তিনি ৬০ বলে অপরাজিত ১০৬ রান করেন। বাটলারের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৬টি ছক্কা। বিশেষ কিছু করতে পারেননি অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ২১ বলে২ চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ২৩ রান করেন তিনি।
এত খারাপের মধ্যেও, আরসিবির হয়ে এ দিন দারুণ ভালো বোলিং করেছেন জস হ্যাজেলউড। ৪ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। ২ ওভারে ৩১ রান দেন মোহাম্মদ সিরাজ। তারা কোন সাফল্য পায়নি। ৩ ওভারে ১৭ রান দেন ম্যাক্সওয়েল। ৩.১ ওভারে ২৯ রান দেন হর্ষাল প্যাটেল। এ দিন ব্যাঙ্গালোরের কোন বোলারই বাটলারের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। প্রায় একার হাতেই তিনি রাজস্থানকে তুলে নিয়ে গেলেন ফাইনালের লড়াইয়ে।
ম্যাচের পর কী বললেন বাটলার?
শতরান করে দলকে জেতানোর জন্য এ দিন ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বাটলারের হাতে। খেলা শেষ হওয়ার পর তিনি বলে দেন, “সত্যি বলে এই মরশুমে আমি খুব কম প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নামি। তবে এখন একটা দুর্দান্ত দলের সঙ্গে ফাইনালে যেতে পেরে দারুণ লাগছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন আমার কিছু সমস্যা হয়েছে। কিন্তু কুমার সাঙ্গাকারা ও ট্রেভর পেনির সঙ্গে কথা বলে আমার অনেক সমস্যা মিটে গিয়েছে। কিছু কিছু ম্যাচে আমার শুরুটা বেশ ধীর গতির ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি। এই জয়টা পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগছে। এতটা পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আশা করছি পরের ম্যাচটাও আমরা ঠিক এতটাই ভালো খেলতে পারবো।”