সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছে ভারতকে। ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি হয় বিরাট ব্রিগেডের। এই প্রতিযোগিতায় একটা জিনিস পরিস্কার হয়ে গিয়েছে যে, ভারতের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যুবরাজ সিং এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি মোটেই এখন আর আগের অবস্থায় নেই। টুর্নামেন্টে এই দু’জন প্রত্যাশা পূরণের ধারেকাছে ছিলেন না। সম্প্রতি দেশের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ‘মিঃ ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড় বলে দিয়েছেন, “ধোনি, যুবরাজের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে ক্রিকেট বোর্ডের। কেদার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে এত নিচে নামতে হচ্ছে বলে, পুরো টিমকেই তার খেসারত দিতে হচ্ছে।”
একদিনের ম্যাচে যুবরাজ ব্যাট করতে নামেন চার নম্বরে। তারপরেই নামেন ধোনি। ফলে দলের দুই তরুণ তুর্কি কেদার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে পরে ব্যাট করতে নামতে হচ্ছে। ফলে তাদের প্রতিভার বিকাশ সবসময় সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েকমাস ধরে ব্যাটসম্যান হিসাবে ক্রমশই উন্নতি করছেন যাদব। যখনই তিনি সুযোগ পেয়েছেন, নিজেকে মেলে ধরেছেন। আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যে ব্যাটসম্যানটি আমের, জুনেইদদের বিরুদ্ধে পালটা লড়াই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি হলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
এখানে দেখুনঃ দলের নতুন ওপেনার বেছে নিয়েছেন ক্যাপ্টেন কোহলি!
রাহুল দ্রাবিড় বলেন, “যাদব যদি চার নম্বরে ব্যাট করতে চায়, তাহলে কি হবে? আমার মনে হয়, সেক্ষেত্রে ওকে সেখানে সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে। কেন যাদবকে ৬ নম্বরে লুকিয়ে রাখা হবে? ও যদি চার নম্বরে নেমে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তো খুবই ভালো। আর ব্যর্থ হলে, অন্য অপশন নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।”
এরই সঙ্গে দেশের ব্যাটিং কিংদবন্তির সংযোজন, “যুবরাজ, ধোনির পরে রয়েছে হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে যাদবকে আরও পরে নামতে হচ্ছে। যাদবকে যদি ব্যাটিং অর্ডারে এখন চার নম্বরে তুলে আনা হয়, তাহলে ও এই জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময়ও পাবে।”
এখানে দেখুনঃ মিতালি রাজের উত্তরে কুপোকাত ক্রিকেট বিশ্ব
দ্রাবিড়ের সঙ্গে সহমত পোষন করেছে দেশের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা একদা ‘মিঃ ওয়াল’-এর সতীর্থ অজিত আগরকরও। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে ধোনি এবং যুবরাজ এখনও চার এবং পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যখন পাকিস্তান বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দেয়, তখনই আমাদের ব্যাটসম্যানদের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয়, সেক্ষেত্রে তরুণ কাউকে ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে আনা যেতেই পারত। যুবিকে চারে না নামিয়ে পরে নামালে, সেখানে ও আরও খোলা মনে খেলতে পারত।”