গত বছরএর তুলনা চলতি আইপিএল লিগে শুরুটা খুবই খারাপ হয়েছে রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। মূলত কমজোরি বোলিং বিভাগ নিয়ে বেশি সংঘর্ষ করতে হচ্ছে তাদের। যদিও গত জানুয়ারিতে ব্যাঙ্গালুরুরতে আইপিএল নিলামে বিদেশি বোলারদের তুলে নিতে যথেষ্টই অর্থ খরচ করেছে তারা। তা সত্ত্বেও সমস্যাটা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গেছে। একমাত্র এবি ডেভিলিয়র্স এবং বিরাট কোহলিই তাদের হয়ে ধারাবাহিক পারফর্মেন্স দিতে পেরেছে এবং সেই সঙ্গে তারা আইপিএলের লিগ টেবিলে একেবারে নীচের দিকে নেমে গিয়েছে। তবে এখনই সব শেষ হয়ে যায়নি ব্যাঙ্গালুরুর জন্য, এবং এই আইপিএলে তাদের এখনও অনেকটাই আশা রয়েছে। চলতি আইপিএলে সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই হারের সম্মুখীন হয়েছে তারা। আরসিবির হয়ে এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গেলে এবং প্লে অফের জন্য কোয়ালিফাই করতে গেলে স্পষ্টত তাদের প্রায় বাকি থাকা সবকটাই ম্যাচ জিততে হবে। যা নিয়ে গত রবিবারই মুখ খুলেছিলেন বিরাট।
এবং তার মতে তাদের আগামি সবকটি ম্যাচকেই ভার্চুয়াল সেমিফাইনাল হিসেবে দেখতে হবে। প্রসঙ্গত বর্তমান সিনারিয় আরসিবির কাছে নতুন কিছু নয়। এর আগেও তারা একই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।২০১১ মরশুমে তারা এই রকম পরিস্থিতি থেকে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। ওই মরশুমে প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে একটি মাত্র ম্যাচ জেতার পর ধারাবাহিক সাতটি ম্যাচে জিতেছিলেন তারা। যদিও ফাইনালে পৌঁছে দুবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের কাছে হেরে যায় তারা। ফলে এ মরশুমেও ব্যাঙ্গালোর একইভাবে ওই কাজটি সম্পন্ন করতে পারে এবং এখন থেকে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে যদি তারা পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে আনতে পারেন তাহলেই তারা পরিস্থিতি নিজেদের অনূকূলে নিয়ে আসতে পারবে।
এছাড়াও ২০১৬তেও অধিনায়ক বিরাট কোহলি দুরন্ত ফর্মের সৌজন্যেই এই একই ধরণের পরিস্থিতি থেকে ঘরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছে ছিল আরসিবি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরসিবিকে তাদের বাকি থাকা সাতটি ম্যাচেই ৬টিতেই জয় হাসিল করতে হবে তাদের। যা আরসিবির প্লেয়ারদের কাছে যথেষ্টই কঠিন কাজ, আবার একই সঙ্গে তাদের দলে এমন ক্রিকেটাররাও রয়েছেন যারা যে কোনও পরিস্থিতি থেকেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়ে আরসিবিকে প্লে অফে তুলে দিতে পারেন।
আইপিএল ২০১৮: কোন অঙ্কে প্লে অফ আরসিবি, জেনে নিন
