সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এই আইপিএলে অভ্যেস বানিয়ে ফেলেছে লো স্কোরিং টোটালকে ডিফেন্ড করার, এবং এই ম্যাচে ফের তারা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়ে দিল। হায়দ্রাবাদ বোলাররা আরও একবার তাদের কাজটা দুর্দান্তভাবে করে বিপক্ষের মিডল অর্ডারকে তছনছ করে দেয়, এবং সেই সময় ১৩২ রানকে দেখে মনে হচ্ছিল পাঞ্জাব বোধহয় ১৮০ রান তাড়া করতে নেমেছে। রশিদ খান লেগ স্পিনারদের স্বপ্নের ডেলিভারিতে কেএল রাহুলের উইকেট তুলে নিয়ে তাদের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেন। এবং বাকি চিত্রনাট্য হোম দলের পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলে এবং তারা পাঞ্জাবকে ১৪ রানে হারিয়ে দেয়। এর আগে পাঞ্জাবের মিডল অর্ডার কোয়ালিটি বোলিংয়ের সামনে অপরীক্ষিতই ছিল এবং এই ম্যাচে চাপের মুখে পড়ে তারা তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। যেখানে রশিদ খানকে খেলা অসম্ভব মনে হচ্ছিল, সেখানে সাকিব আল হাসান, বাসিল থাম্পি এবং সন্দীপ শর্মাকে নিজেদের কাজটা সঠিকভাবে করে বিপক্ষের উইকেট নিয়মিত অন্তরালে তুলে নিতে শুরু করেন। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে বিনা উইকেটে ৫০ রান থেকে শেষ পর্যন্ত তারা ১১৮/১০ হয়ে যায়।
পাঞ্জাবের জন্য শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচ হৃদয়বিদারক হয়ে যায় এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মত তারাও রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের দ্বিতীয় স্থান হায়দ্রাবাদের হাতে সহজেই তুলে দেয়। অন্যদিকে এই ম্যাচের শুরুতেই পাঞ্জাব বোলার অঙ্কিত রাজপুতের হাতে আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে হায়দ্রাবাদ মাত্র ১৩২ রানেই শেষ হয়ে যায়। এবং ১৪ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। হায়দ্রাবাদের তরফে মনীষ পান্ডে ৫২ রান করেন। ম্যাচ শেষে হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানান, “এই উইকেটে আমরা সত্যি ভাল খেলতে পারি নি যেখানে ১৮০ উঠতে পারত। আমরা আমাদের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আরও রান চেয়েছিলাম এবং ১৫০-১৬০ রান লড়াই করার মত টোটাল হতে পারত। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দুর্দান্ত বল করেছে কিন্তু আমাদের ছেলেরাও সত্যিই কঠিন লড়াই করেছে। এই রান ডিফেন্ড করা সত্যিই দুর্দান্ত।
আমরা পাওয়ার প্লেতে খুব ভাল বল করতে পারি নি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। ব্যাট হাতে আমর আরও একটু সতর্ক হয়ে চেয়েছিলাম এবং এই উইকেটে ১৪৫-১৫৫ রান সহজেই করা যেত। যা প্রতিস্পর্ধী রান হতে পারত এই উইকেটে। আমাদের বোলাররা দারুণ ভূমিকা পালন করেছে, তারা তাদের ভূমিকাটা ভাল মতই জানে। আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের হাতে এমন একটা বোলিং ইউনিট রয়েছে। খুবই ভাগ্যবান এই স্থানীয় প্রতিভাদের পেয়ে। আগামি কয়েকটি ম্যাচে আমাদের বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি সবসময়ই বেশি কিছু চান, কিন্তু কিন্তু ছেলেরা বল হাতে যেভাবে লড়াই করেছে তা সত্যিই দুর্দান্ত বিশেষ করে এই ধরনের পিচে। আমরা এই ট্রেন্ডকে বাকি প্রতিযোগিতাতেও বজায় রাখতে চাই”।