শক্তিশালী ব্যাটিং, ভাল পাওয়ার হিটার এবং শক্তিশালী পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আসন্ন আইপিএলেও দুর্দান্ত দল। মুম্বইয়ের দুর্বল দিকটি হল তাদের স্পিন বিভাগ, যা তাদের ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিকের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে আগামী ৯ এপ্রিল। ২০১৯ সালে শিরোপা জয়ের পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০২০ সালে কোভিড- ১৯ মহামারীর কারণে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হওয়া টুর্নামেন্টে জিতেছিল। মুম্বই গত বেশ কয়েক বছর ধরে দলে তাদের মূল খেলোয়াড়দের ধরে রেখেছে এবং এটিই তাদের উন্নতির মূল কারণ।
ব্যাটিং মুম্বইয়ের শক্তিশালী দিক সেখানে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডিককের মতো ওপেনার। প্রয়োজনে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস লিনও দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। সূর্যকুমার যাদব এবং ইশান কিষান নিয়মিত দলের সদস্য। দু’জনেই সম্প্রতি ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেন। পাণ্ডিয়া ভাইরা অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কায়রন পোলার্ডের উপস্থিতি তাদের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করবে। বোলিং বিভাগে তাদের রয়েছে ভারতের সেরা পেস বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। গত মরসুমে নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নেওয়ার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার নাথান কুল্টার নাইলও পেস বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করবে।
মুম্বইয়ের দুর্বল দিকটি হল তাদের স্পিন বিভাগ যা চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামের পিচে খুব কার্যকর। মুম্বইয়ের উইকেট নিতে পারে এমন কোনও স্পিনার নেই এবং এই দুর্বলতা তাদেরকে অন্য দল ছাপিয়ে যেতে পারে। বাঁহাতি স্পিনার ক্রুনাল পাণ্ডিয়া রান নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে পারদর্শী নন। এমন পরিস্থিতিতে স্পিন বিভাগের দায়িত্ব পড়ে তরুণ রাহুল চাহারের কাঁধে। অফ স্পিনার জয়ন্ত যাদব গত মরসুমে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন এবং এবার কত ম্যাচ পাবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মুম্বই দলে সিনিয়র স্পিনার পীযূষ চাওলা যোগ দিয়েছে তবে চাহার ও ক্রুনালের উপস্থিতিতে বেশিরভাগ ম্যাচে চাওলাকে বাইরে থাকতে হতে পারে। চাওলা আইপিএলে ১৫৬ টি উইকেট নিয়েছেন এবং তিনি এই টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।