আরও একটা টি-২০ বিশ্বকাপ। আরও একবার টিম ইন্ডিয়া’র সঙ্গী হলো ব্যর্থতা। ২০০৭ সালে প্রথম কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপে দুনিয়া’কে চমকে দিয়ে জয় তুলে নিয়েছিলো মহেন্দ্র সিং ধোনি’র নেতৃত্বাধীন তরুণ ‘টিম ইন্ডিয়া।’ সেই প্রথম আর সেই শেষ। এর মাঝে কেটে গেছে প্রায় ১৫ বছর। আইপিএল নামক এক বৃহৎ টি-২০ বিপ্লবের জন্ম দিয়েছে ভারত, কিন্তু আন্তর্জাতিক কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা আর জোটে নি ‘মেন ইন ব্লু’র কপালে। ২০২১ সালে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলো দল। তারপর সরিয়ে দেওয়া হয় নেতা বিরাট কোহলি’কে। নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা’র হাত ধরে সাফল্য আসবে, আশা ছিলো তেমন’ই। কিন্তু সেই আশা’ও শেষে হতাশায় পর্যবসিত হলো। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে টি-২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলো ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৮ তোলে ‘টিম ইন্ডিয়া।’ জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ১৬ ওভারে এই রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ১০ উইকেটে এই লজ্জার হারের পর দেশে বিদেশে সমালোচিত ভারতের বোলিং। আগামী টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে, তার আগে বোলিং গুছিয়ে নিতে না পারলে ভবিষ্যতেও লজ্জার মুখে পড়তে হতে পারে ভারত’কে। বোলিং সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এলেন ভারতীয় পেস কিংবদন্তী জাহির খান। দুই বোলার’কে সুযোগ দেওয়ার জন্য ভারতীয় বোর্ড’কে অনুরোধ জানালেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর সামনে এবার নিউজিল্যান্ড-

বিশ্বকাপে হতাশাজনক বিদায়ের পর ভারতের সামনে পরীক্ষা এখন নিউজিল্যান্ড। কিউইদের দেশে টি-২০ এবং একদিনের ম্যাচের সিরিজ খেলবে ‘মেন ইন ব্লু।’ দলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা রয়েছেন বিশ্রামে। টি-২০ দলের নেতৃত্ব সামলাতে দেখা যবে হার্দিক পান্ডিয়া’কে। একদিনের দল’কে নেতৃত্ব দেবেন শিখর ধাওয়ান। সিনিয়রদের অবর্তমানে এই সিরিজগুলি নতুন খেলোয়াড়দের কাছে নিজেদের মেলে ধরার মঞ্চ হতে চলেছে। ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই’ও চাইছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুনদের দেখে নিতে। ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ বোর্ড যে অভিজ্ঞতা’র চেয়ে তারুণ্যে বেশী জোর দিতে চায় তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে বিসিসিআই’এর একাধিক সূত্র। এমতাবস্থায় আগামী বছর কোন কোন তরুণ প্রতিভা জাতীয় দলের নীল জার্সি গায়ে চাপান সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ক্রিকেটমহল।
দুই এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলার’কে চাইছেন জাহির-

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিদফাইনালে হার ভারতের বোলারদের জীর্ণ দশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানী পেস কিংবদন্তী শোয়েব আখতার(Shoaib Akhtar) নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছেন ভারতীয় বোলার’রা ‘একমাত্রিক।’ পিচ থেকে সাহায্য না পেলে উইকেট তোলার ক্ষমতা তাঁদের নেই। ভারত দলে কোনো এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলার নেই যিনি কিনা গতি দিয়ে ভয় ধরাতে পারেন বিপক্ষের মনে। আখতারের সাথে একরকম সহমত পোষণ করতে দেখা গেলো ভারতের প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসার জাহির খান’কে(Zaheer Kahn)। জাতীয় দলের জন্য দুই গতিমান তরুণ ফাস্ট বোলার’কে দরকার বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁরা হলেন উমরান মালিক(Umran Malik) এবং কুলদীপ সেন(Kuldeep Sen)। উমরান কামব্যাক করতে চলেছেন ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’দের বিরুদ্ধে। আর প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন কুলদীপ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই চাল দেবে টিম ব্লু

নিউজিল্যান্ড সিরিজের সম্প্রচারকারী সংস্থা প্রাইম ভিডিও’কে তিনি জানিয়েছেন, “ একটা উত্তেজক সিরিজ হতে চলেছে। ভারতীয় দলে উমরান মালিক নিউজিল্যান্ডে কি রকম পারফর্ম করে তা দেখতে আমি মুখিয়ে রয়েছি। এই সফর’টা কুলদীপ সেনের কাছে জ্ঞান অর্জনের একটা বিরাট সুযোগ হতে চলেছে। নিউজিল্যান্ডের পিচে বোলার’রা বরাবর সাহায্য পায়। তাঁরাই তফাৎ গড়ে দেবে।” ভারতীয় দলের নতুন পেসার’দের উপদেশ’ও দিয়েছেন হিন্দী কমেন্ট্রি টিমের সদস্য জাহির। বলেন, “ওয়েলিংটনে যে হাওয়া’টা বয় তার বিরুদ্ধে বল করা বেশ কঠিন। হাওয়ার বিরুদ্ধে বোলিং করলে ছন্দ বিগড়ে দিতে পারে তা। আর হাওয়ার দিকে রান আপ নিলে তার গতিবেগ বোলিং করা কঠিন করে তুলতে পারে। এর জন্য আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে পেসারদের।”