ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ও ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পিছনের কান্ডারি যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) ক্রিকেট জীবন ছিল বেশ সুমধুর। কিন্তু জীবনে ক্যানসার নামক রোগ আসার পর আর নিজেকে সেরার সেরা তালিকায় মনোনীত করতে পারেননি। ২০০০ সালে তার উত্থান হয়েছিল যখন সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক। একটা সময় যুবরাজ সিং ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটের সব থেকে বড় অলরাউন্ডার ছিলেন তাতে কোনরকম সন্দেহ নেই। এমনকি, ২০১১ বিশ্বকাপ ক্যান্সার নিয়েও যুবরাজ ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। তিনি টুর্ণামেন্টের সেরা প্লেয়ার হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Read More: “বিরাট কোহলির মত ক্রিকেটার…” ভারতীয় মহাতারকাকে নিয়ে মন্তব্য করলেন ওয়াসিম আক্রম !!
দল থেকে বাদ পরেন যুবরাজ
বিশ্বকাপের পর শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন যুবি, এরপর যুক্তরাজ্যে গিয়ে নিজের রোগের চিকিৎসা করান। সুস্থ হয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরে আসেন ২০১৩ সালেই, কিন্তু তিনি অবশ্য একদিনের দল থেকে বাদ পড়ে যান কিছুদিন পরেই। ২০১৫ বিশ্বকাপে জাতীয় দলে কামব্যাক করার একটি বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট তাকে সুযোগ দেয়নি। তবে, আবার ২০১৭ সালে তিনি কাম ব্যাক করেন। সম্প্রতির যুবরাজ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) আর এম এস ধোনি (MS Dhoni) না থাকলে তিনি চার বছর পর ভারতের জার্সিতে আর ফিরতে পারতেন না। সব সময় বিরাট কোহলি যুবরাজের প্রতি বিশ্বাস রাখতেন এবং বড় দাদা হিসেবে তাকে দেখতেন। অন্যদিকে মাহির পরম মিত্র ছিলেন যুবি।
কোহলি না থাকলে দলে সুযোগ পেতেন না যুবরাজ
তবে, জাতীয় দলে সুযোগ পেতে গেলে এই কদিনে নতুন নিয়ম চালু হয়েছিল, সেটি ছিল ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্ট। তাই যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) তিন মাস প্রচুর পরিশ্রম করেছেন এবং তিনি ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যুবরাজ জানিয়েছেন তিনি বিরাট কোহলির বিশ্বাস এবং ভালোবাসা কোনদিন ভুলতে পারবেন না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিরাট কোহলির কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন। কিন্তু এর পাশাপাশি যুবরাজের রাগ আছে ভারতীয় বোর্ডের উপর। তিনি মনে করছেন সঠিকভাবে তাকে বিদায় জানানো হয়নি। আসলে, ভারতীয় ক্রিকেটে তার অবদান প্রচুর, তারও একটি ফেয়ায়ওয়েল ম্যাচ তার প্রাপ্য।
তিনি কোহলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি যখন ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করি, বিরাট কোহলি তার অধিনায়কত্বের সময় আমাকে অনেক সমর্থন করেছিলেন। বিরাট যদি আমাকে সমর্থন না করত, আমার কামব্যাক কখনও সম্ভব হতো না।” পাশাপাশি, ধোনিকে নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিন্তু তখন ধোনিই আমাকে ২০১৯ বিশ্বকাপের সঠিক ছবি দেখিয়েছিলেন যে নির্বাচকরা আদেও আমার দিকে তাকাচ্ছেন না।তিনি আমাকে আসল ছবি দেখালেন। তিনি আমাকে স্পষ্টতা দিয়েছেন, ধোনিকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনির খুব বিশ্বাস ছিল আমার প্রতি, তিনি আমাকে বলতেন, ‘তুমিই আমার প্রধান খেলোয়াড়’। কিন্তু অসুস্থতা থেকে ফিরে আসার পর খেলায় অনেক পরিবর্তন আসে এবং দলে অনেক পরিবর্তন হয়। তাই বিষয়টা অনেক ব্যাক্তিগত হয়ে যায়।“