যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামী মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন যুবরাজ সিং।পান্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন তিনি।
২০১৯ সালের জুন মাসে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন যুবি।কিন্তু সম্প্রতি এই তারকা ভারতীয় ক্রিকেটার ফের কোথাও বাইশ গজে ফেরার চাহিদা অনুভব করেন ।এবং সেই চাহিদা থেকেই ফের আরেকবার বাইশ গজে ফিরতে চলেছেন তিনি।
২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার ” প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট ” যুবিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে পান্জাব দলের যুব প্রতিভা শুভমান গিল,অভিষেক শর্মা,পারবিশ্রাম সিং,আমোলপ্রিত সিং দের সাথে পান্জাব ক্রিকেট এ্যকাডেমির মাঠে সময় কাটাতে।তাদের পরামর্শ দিতে।মাঠে ফেরার চিন্তা ভাবনা হয়তো তখন থেকেই অবচেতনে কাজ করছিলো যুবির মধ্যে।
” আমি রাজ্যের যুব প্রতিভাদের সঙ্গে সময় কাটানো টা দারুণ উপভোগ করেছিলাম ।ওদের সঙ্গে খেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে বুঝেছিলাম, ওরা বিষয় গুলো’কে খুব সহজেই বুঝতে পারছে ।এরপর নেটে গিয়ে কিছু বিষয় সরেজমিনে বোঝাতে গিয়ে অনুভব করলাম এখনো বল টা বেশ ভালোই মারতে পারছি,অথচ দীর্ঘ কয়েক মাস আমি ব্যাট বলে হাত লাগাই নি ” সংবাদ মাধ্যম’কে একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন যুবি।
পান্জাবের যুব দলের ক্রিকেটারদের সাথে সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে সময় কাটানোর পর থেকেই তার কাছে পান্জাব ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রস্তাব যায় রাজ্য দলের হয়ে অন্তত টি টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে নামুক যুবি ।তার উপস্থিতি দলের যুব ক্রিকেটারদের সাহায্য করবে ।সেই প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘদিন ভাবনা চিন্তা করার পর অবশেষে সবুজ সংকেত দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার।
প্রসঙ্গত, সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মরসুমের বিগব্যাশ লিগে খেলতে দেখা যেতে পারে প্রাক্তন তারকা ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং।এমনটা বাস্তবায়িত হলে প্রথম ভারতীয় হিসেবে অজি টি টোয়ন্টি লিগে খেলতে দেখা যেতে পারে যুবি’কে।
অবসরের পর একাধিক টি টোয়ন্টি লিগে খেলতে দেখা গেছে যুবিকে।তালিকায় আছে কানাডার টি টোয়ন্টি লিগ এবং আবু ধাবির টি – ১০ লিগ।আর এবার যদি সবকিছু ঠিক ঠাক থাকে তাহলে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় লিগে খেলতে দেখা যাবে তাকে।সম্প্রতি যুবির ম্যানেজার জেসন ওয়ার্ন জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আগ্রহ দেখানো হয়েছে যুবির জন্য।তারাও চাইছেন এই লিগে খেলুক তিনি।
নিজের বর্নময় ক্রিকেট জীবনে দেশের হয়ে যথাক্রমে ৩০৪ ওয়ানডে,৪০ টেস্ট এবং ৫৮ টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন যুবি ।ভারতের ২০০৭ এর টি টোয়ন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের পন্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।