ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) অন্যতম সফল একজন অধিনায়ক। তিনি জাতীয় দলকে এনে দিয়েছেন অসংখ্য ট্রফি। তার তত্ত্বাবধানে একাধিক তরুণ ক্রিকেটার পরবর্তী সময় তারকা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছেন। এখনও এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে এক ঝলক দেখার জন্য এখনও হাজার-হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। তবে এই ক্রিকেটারকে ঘিরেও একাধিক বিতর্ক মাঝেমধ্যে সামনে উঠে এসেছে। এবার ধোনির (MS Dhoni) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন যোগরাজ সিং (Yograj Singh)।
Read More: TOP 3: জাতীয় দলে ব্রাত্য শ্রেয়স আইয়ার, এই তিন কারণেই টেস্ট ও টি-২০তে পাচ্ছেন না সুযোগ !!
আবারও বির্তকে ধোনি-

মাঠের মধ্যে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময় তার শান্ত মস্তিষ্কের মোক্ষম চাল বিপক্ষদের চাপের মুখে ফেলে দিত। ধোনি (MS Dhoni) ভারতীয় দলের হয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করার পরও তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। ৪৩ বছর বয়সেও ধোনিকে চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) হয়ে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। তবে বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার বারবার অভিযোগ তুলেছেন যে এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের জন্যই তাদের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
সম্প্রতি ইরফান পাঠানের (Irfan Pathan) একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও আবারও সোশ্যাল মিডিয়াই ভাইরাল হয়েছে। তিনি এই আলাপচারিতায় বলেছিলেন, “কারোর হোটেল রুমে গিলে আমি হুক্কা সাজিয়ে দিতে পারব না। এই রকম অভ্যাস আমার নেই। সেটা সবাই জানে। এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। একজন ক্রিকেটারের প্রধান কাজ মাঠে গিয়ে পারফর্মেন্স করা। আমি সেই দিকেই মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতাম।” এরপরই ক্রিকেট মহলে ধোনিকে (MS Dhoni) নিয়ে ট্রোলিং করছেন নেটিজেনরা।
যোগরাজের বিস্ফোরক অভিযোগ-

শুধুমাত্র ইরফান পাঠান (Irfan Pathan) নন এর আগে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক জর্জ বেইলিও (George Bailey) ধোনির বিরুদ্ধে ধূমপানের অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে ভারতের এই তারকা উইকেটকিপার এবং ব্যাটসম্যান আইপিএল (IPL 2025) এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ক্রিকেট খেলার সময় তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হুক্কা ধূমপান করতেন। এর মধ্যেই এবার যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) বাবা এবং ক্রিকেট কোচ যোগরাজ সিং (Yograj Singh) বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।
তিনি যুবরাজের ক্যান্সারের কারণ হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) হুক্কা পার্টিকে অভিযুক্ত করেছেন। উল্লেখ্য ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। ফুসফুসে বিরল ক্যান্সার যুক্ত টিউমার ধরা পড়ে। কেমোথেরাপির মাধ্যমে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যুবরাজকে ২০১২ সালে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছিল বলে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করেছিলেন।