World Cup 2023: ক্রিকেটদুনিয়ার নজর আজ আহমেদাবাদের দিকে। বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা টিম ইন্ডিয়া আজ ব্যাট হাতে বেশ বেকায়দায়। রোহিত চেনা ভঙ্গিতে ধুন্ধুমার ক্রিকেট খেলে শুরুটা করলেও খেলা যত গড়িয়েছে জাঁকিয়ে বসেছেন অজি বোলার’রা। কোহলির ৫৪, কে এল রাহুলের ৬৬ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ভারত থেমেছে মাত্র ২৪০ রানে। এইবারের বিশ্বকাপে ৩৫০, ৪০০ রান হামেশাই উঠতে দেখা গিয়েছে, সেখানে ২৪০ আদৌ যথেষ্ট কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেশের মাটিতে তৃতীয় বিশ্বকাপ জিততে হলে ‘মেন ইন ব্লু’ বোলারদের যে বাইশ গজে আগুন ঝরাতে হবে, সে বিষয়ে একমত সকলেই।
Read More: World Cup Final 2023: অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ে তোপ সামলে লড়াকু স্কোর ভারতের, শামি-বুমরাহ’দের ওপর নির্ভর করছে কাপ ভাগ্য !!
অস্ট্রেলীয় ইনিংসের প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে জালে তুলতে পারতেন জসপ্রীত বুমরাহ। প্রথম ও দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো বিরাট কোহলি এবং শুভমান গিলের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হওয়ায় ক্যাচ ফস্কায় ভারত। দমে না গিয়ে বাড়িত উদ্যমে বোলিং করেন বুমরাহ। ওয়ার্নারকে শামি আউট করার পর, বুমরাহ’র ডেলিভারি খুঁজে নেয় মিচেল মার্শের ব্যাটের কোণা। উইকেটরক্ষক রাহুলের দস্তানায় বন্দী হন তিনি। এরপর ক্রিজে এসেছিলেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে বহুযুদ্ধের নায়ক স্মিথ। কয়েক মাস আগেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্মিথের শতরান ভারতের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো খেতাব। তাঁকেও বেশীদূর এগোতে দেন নি বুমরাহ। তাঁর দুরন্ত ইনস্যুইং খুঁজে নেয় স্মিথের প্যাড।
৪৭ রানের মধ্যে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলা অজি ব্রিগেড তখন বেশ চাপে। ক্রিজে আসেন মার্নাস লাবুশেন। নবাগত ব্যাটারের মনঃসংযোগ ভঙ্গ করতে বিরাট কোহলিকে দেখা গেলো মাঠের লড়াইতে আগ্রাসনকে মিশিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কৌশল অবলম্বন করতে। তিনি সটান হাজির হন লাবুশেনের সামনে। কড়া চোখে তাকান অস্ট্রেলীয় তরুণ ব্যাটারের দিকে। একই সাথে লাবুশেনের উদ্দেশ্যে কিছু বলতেও দেখা যায় কোহলিকে। ভারতীয় ক্রিকেটারের স্লেজিং-এর পালটা মাথা নেড়ে উত্তর দিতে যায় লাবুশেনকে। কমেন্ট্রি বক্সে ধারাভাষ্যকারদের বলতে শোনা যায় ‘লাবুশেন নিজে কথা বলতে ভালোবাসে, এখন কোহলি ওকে কথা শোনাচ্ছে।’ দুই দেশের দুই তারকার মধ্যে কথার লড়াই অবশ্য সহজে থামে নি। ওভারের মাঝে প্রান্ত বদল করছিলেন ট্র্যাভিস হেড এবং লাবুশেন। তখনও কোহলিকে দেখা যায় তাঁর দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে রয়েছেন।