বিশেষ প্রতিবেদন: গ্রুপ পর্বের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে এমনিতেই চাপে পড়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই হারের পর কিউয়িদের কাছে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই কঠিন হয়ে গিয়েছে। এমন একটা মরণবাঁচন ম্যাচে হারের পর এবার জরিমানার মুখে পড়ল ‘ব্ল্যাক ক্যাপস দলকে’। ইংল্যান্ড ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কেন উইলিয়ামসন ও তাঁর দলকে জরিমানা করেছে। ম্যাচ রেফারি জানিয়ে দেয়, ‘আইসিসি আচরণ বিধির ২.৫.১ ধারা ভঙ্গ করেছেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুটি ওভার কম বোলিং করেছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ওই দলের খেলোয়াড়দের জরিমানা করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারের তিন বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ৩১১ রানের বড় পাহাড় গড়ে তোলে ইয়ন মর্গ্যানের দল। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে দুর্দান্ত শুরু করার পর পথ হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ৪৪.৩ ওভারে ২২৩ রানে গুটিয়ে যায় তাঁরা। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিউজিল্যান্ড দুই ওভার কম বোলিং করে। সেই গুরতর কারণে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ম্যাচ ফি’র ৪০ শতাংশ এবং দলের বাকি খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করেন।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যদি ফের স্লো-ওভার রেটের কারণে উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড অভিযুক্ত হয়, তবে দলের অধিনায়ক একটি ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হবেন।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে চলতি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড যদি বাংলাদেশকে হারাতে পারে এবং অস্ট্রেলিয়া যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় কিংবা ম্যাচটি ড্র হয় তবেই সেমিফাইনালে যাওয়ার টিকিট হাতে পাবে নিউজিল্যান্ড।
এর আগে টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্লো ওভার রেটের কারণে দুটি ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন ওই ম্যাচে লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেওয়া উপল থারাঙ্গা। একই সঙ্গে তার ম্যাচ ফির ৬০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৪ ওভার কম করায় ২ নেগেটিভ পয়েন্ট পেয়েছিলেন থারাঙ্গা। তাই দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ম্যাচ ফির ৬০ শতাংশ জরিমানার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাই এবার নিউজিল্যান্ডের শাস্তি পাওয়াটা মোটেও অবাক করার মতো কোন বিষয় নয়।