আসন্ন আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ের সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি নিলামে অংশ নিয়েছিল এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে খেলোয়াড়দের উপর বাজি ধরে কিনে নিয়েছে তারা। বিশ্বের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ক্রিকেট লিগ ছাড়াও আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রিকেট লিগও বটে। এতে ক্রিকেটাররা অংশ নিতে মোটা অঙ্কের পরিমাণ পান। আইপিএলে এখনও অবধি ৬,১৪৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে কেবল খেলোয়াড়দের উপর। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন দেশের খেলোয়াড়রা উপার্জনের ক্ষেত্রে শীর্ষে আছেন।
উপার্জনের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এখনও পর্যন্ত ১৪ মরসুমে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য ৩৪৩৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যা মোট ব্যয়ের ৫৬.৭ শতাংশ।
আয়ের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯৯ জন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়কে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছে। তারা এ পর্যন্ত ৯০৫.৯ কোটি টাকা আয় করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা এই তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫৬ জন খেলোয়াড় আইপিএলের অংশ হয়েছেন। তারা এ পর্যন্ত ৫৩৯ কোটি টাকা আয় করেছেন।
আইপিএলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দেরও চাহিদা বেশি। ৩৩ জন খেলোয়াড় এখনও পর্যন্ত ৪৮৫.৫৪ কোটি টাকা আয় করেছেন।
আইপিএলে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দেরও কেনা হয়েছে। চুক্তি থেকে ২৮৫.৯৬ কোটি টাকা করেছে তারা।
নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমসনকে এই বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৫ কোটি টাকায় কিনেছে। এ থেকে অনুমান করা যায় যে আইপিএলে নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের কতটা চাহিদা রয়েছে। সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ৩১ জন কিউই খেলোয়াড়ের জন্য ২১১.৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
শ্রীলঙ্কার ২৫ জন খেলোয়াড় কেবল ১৯৫.৯৩ কোটি টাকা আয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের চারজন খেলোয়াড় আইপিএলে অংশ নিতে পেরেছেন। তারা এ পর্যন্ত ৫৮.৪ কোটি টাকা আয় করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে মাত্র ছয়জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন। তারা এ পর্যন্ত ৩৪.৭৮ কোটি টাকা আয় করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান খেলোয়াড়দের আইপিএল খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। শুরুর বছরে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ১১ জন পাক খেলোয়াড় আইপিএলের অংশ ছিলেন। তারা আইপিএল থেকে ১২.৮৪ কোটি টাকা আয় করেছেন।