বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচগুলিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতীয় দল ফাইনালে প্রবেশ করেছিল সেমিফাইনালে তাদের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তসে জিতে ইংরেজ অধিনায়ক জজ বাটলার ফিল্ডিং করা সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দল প্রথম থেকেই বলে সংঘর্ষ করতে সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছিল প্রচুর বল নষ্ট করে ফেলেছিলেন ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত ইনিংসে ভারতীয় দল ১৫৯ রানের একটি তুলনামূলক ভালো স্থানে পৌঁছে দেন এবং বেশ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেই লক্ষ্য মামুলী হয়ে যায় আলেক্স হেলস ও ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে।
আইপিএল নিয়ে ওয়াসিম আকরামের মন্তব্য
এমন হারের পর অনেকেই কাঠগড়ায় তুলছেন আইপিএলকে। এমনকি সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামও (Wasim Akram) আইপিএলকেই দোষ দিয়েছেন। আইপিএলে খেলোয়াড়দের মানসিকতায় বড় প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন ওয়াসিম। তিনি এবিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, “সবাই ভেবেছিল আইপিএল আসার পরেই ভারতীয় বোর্ডের অনেক উপকার হবে, তবে তা মনে হয়না হয়েছে, ভারত তাদের একমাত্র বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০৭ সালে, আর আইপিএল শুরু হয় ২০০৮ সালেই, তাহলে আইপিএল শুরু হওয়ার পর ভারত একবার ও ট্রফি জেতেনি, তাহলে বলাই যায় যে আইপিএল-এর ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় প্রভাব পড়েছে।”
বোলারদের গতিবেগ কমে যায় এক মরশুমে
আইপিএল প্রসঙ্গে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেছেন যে , “ভারতীয় তরুণ ফাস্ট বোলাররা তাদের গতি হারাচ্ছেন, আইপিএলে ভালো বোলিং করে উইকেটে নিয়েছেন তরুণ পেশাররা, গত দুই বছরে বেশ পারফরমেন্স করেছেন ভারতীয় বোলাররা, তবে যাদের গতিবেগ ছিল ১৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা তাদের পরবর্তী মরশুমে গতিবেগ গিয়ে দাঁড়ায় ১৩০ এ, এক মরশুমে গতি হারায় তারা। খেলায় গতি থাকাটা প্রয়োজনীয়, এইভাবে চলতে থাকলে লীগের (IPL) কোনো মানেই থাকে না।”
বিদেশী টি টোয়েন্টি লীগের সুবিধা
একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে বিদেশি লিগে ভারতীয়দের খেলতে বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও। যে বিষয়ে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও মন্তব্য করেছিল বিশ্বকাপের পর, ভারত ব্যাতিত সব দেশের প্লেয়াররাই বিদেশি লীগ খেলে থাকেন, এমনকি ভারতের বিপক্ষে ৪৭ বলে খেলেন ৮৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন আলেক্স হেলস (Alex Hales)। বিগ ব্যাস খেলে থাকেন হেলস, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারসের হয়ে, তিনি অভালের মাঠ ভালোভাবেই চেনেন, বিশাল বাউন্ডারিতে মেরেছেন ৭টি ছক্কা। ম্যাচ শেষে হেলস তার বিগব্যাশের অভিজ্ঞতাকেই স্বীকার করেছেন ম্যাচ শেষে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আইপিএল ছাড়া দেশের বাইরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে দেওয়া হয় না ভারতীয় ক্রিকেটারদের।