ভারত আর চাইনিজ সেনাবাহিনীর মধ্যে গালওয়ান ঘাঁটিতে হওয়া সংঘর্ষের পর ভারতীয়দের নিশানায় চলে এসেছিল বিসিসিআই। এই অবস্থায় বিসিসিআইকে চাইনিজ মোবাইল কোম্পানি ভিভোর সঙ্গে নিজেদের চুক্তি স্থগিত করতে হয়েছিল। ভিভো আইপিএলের প্রধান স্পনসর হিল। তবে এখন ভিভো আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হতে পরিস্কার মানা করে দিয়েছে।
বিসিসিআইয়ের সামনে তৈরি হল সমস্যা
গালওয়ান ঘাঁটির সংঘর্ষের পর থেকেই ভিভো আর বিসিসিআইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক নেই, এই কারণে গত বছর আইপিএল ২০২০ চলাকালীন ভিভোর থেকে টাইটেল স্পনসরশিপ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন এই মোবাইল কোম্পানি আইপিএলে যুক্ত হতে পরিষ্কার মানা করে দিয়েছে। ভিভোর সঙ্গে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএলের চুক্তি ছিল, কিন্ত এখন এই মোবাইল কোম্পানি আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত হতে পরিষ্কার মানা করে দিয়েছে। ভিভোর এই পদক্ষেপের পর বিসিসিআইয়ের সামনে সবচেয়ে বড়ো সামস্যা দাঁড়িয়ে গেছে যে তারা কীভাবে বাজার থেকে নিজেদের টাকা ফিরি আনবে, এর জন্য ভিভো হয় আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের জন্য নিলাম করবে বা অন্য কোনো কোম্পানিকে অধিকার ট্রান্সফার করতে অনুমতি দেবে। তবে এতে বিসিসিআইকে যথেষ্ট লোকসান ভোগ করতে হবে।
গত বছর আইপিএলে ২২০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছিল
২০২০তে ড্রিম ইলেভেন বিড করে আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ হাসিল করেছিল আর এর জন্য তারা ২২০ কোটি টাকা দিয়েছিল। তবে এই অর্থ ভিভোর তুলনায় মাত্র ৫০ শতাংশই ছিল আর বোর্ডকে লোকসান ভোগ করতে হয়েছিল। তবে ড্রিম ইলেভেন ২০২১ এর জন্য ২৪০ কোটি আর ২০২২ এর জন্য ২৬০ কোটি টাকার অফার বিসিসিআইকে দিয়েছিল, কিন্তু বোর্ড তা খারিজ করে দেয়।
এবার এই ভারতীয় কোম্পানিগুলি থাকবে দৌড়ে
আইপিএল ২০২১ এর জন্য এখন আর মাত্র ২ মাস সময় বাকি রয়েছে, এই অবস্থায় ভিভোর এইভাবে মানা করে দেওয়ার পর বিসিসিআই টাইটেল স্পনসরশিপ কোনো ভারতীয় কোম্পানিকে বেচতে পারে। কিন্তু গত বছরের মতো এবারও তাতে লোকসান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভিভো টাইটেল স্পনসরশিপের জন্য বিসিসিআইকে এক মরশুমে ৪৪০ কোটি টাকা দিচ্ছিল। এই অবস্থায় বিসিসিআইয়ের চেষ্টা থাকবে যে তারা এই মরশুমে ওই পরিমাণ অর্থ দাম দেবে। তবে বিসিসিআই এই মরশুমের জন্য ২৪০ কোটি টাকা বিড হিসেবে রেখেছিল, যা ড্রিম ইলেভেন দিতে প্রস্তুত, কিন্তু এই টাইটেল স্পনসরশিপ কার দিকে যাবে তা ভবিষ্যত বলতে। তবে অনুমান করা হচ্ছে যে এবার ড্রিম ইলেভেন বা আনঅ্যাকাডেমিকে আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ দেওয়া হতে পারে।