বছরের শুরুতে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) পর্যালোচনা বৈঠকের পরে, প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির (Virat Kohli) একটি পুরানো ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে হয়েছে ভাইরাল, সেই ভিডিওতে বিরাট কোহলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’ এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করছিলেন, আর সেই ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’ ভারতীয় দলের প্রয়োজনীয় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, বিরাটের এই পুরানো ভিডিওতে বলা প্রত্যেকটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে।
ফিট ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইনে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন বিরাট কোহলি
২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফিট ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইনের জন্য প্রচার চালান, তখন ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’ এর কথা সামনে আনেন, তিনি ওইসময় ফিটনেসের মান বজায় রাখার গুরুত্ব বলেছিলেন কারণ অন্যান্য ক্রিকেটিং দেশের তুলনায় জাতীয় দলের স্তর কম ছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা।তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলি আরও বলেছিলেন যে দলের যিনি অধিনায়ক তিনিও যদি এই পরীক্ষায় সফল না হন তবে তিনিও দল থেকে বাইরে যাবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন যে, “ফিটনেসের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যদি আমরা বিশ্বব্যাপী ফিটনেসের স্তরের কথা বলি তবে আমাদের ফিটনেস স্তর এখনও অন্যান্য দলের তুলনায় কম এবং আমরা এই টেস্ট নিতে চাই, এটি আমাদের মৌলিক প্রয়োজন।“
কোহলির পথেই চলতে চায় বিসিসিআই
তিনি নিজেই বলেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে তিনি যদি ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’-এ ব্যার্থ হন তাহলে তিনিও দলের বাইরে যাবেন বলে বিবৃতি দিয়েছেন, তিনি মন্তব্য করে বলেছিলেন, “আমি সেই ব্যক্তি যে প্রথমে দৌড়াতে যাই এবং এই শর্ত যে আমি ব্যর্থ হলে আমি নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ নই। সেই সংস্কৃতিটি আমাদের মধ্যে আনা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সামগ্রিক ফিটনেসের স্তরের উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে।” ভারতীয় দলের অন্যতম ফিট প্লেয়ার হলেন বিরাট কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে দলকে ফিটনেসের অন্যতম মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন কোহলি।
ইয়ো-ইয়ো টেস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা
‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’ সম্পর্কে বলতে গেলে, একজন ক্রীড়াবিদকে দুটি মার্কারের পিছনে দৌড়ানোর জন্য তৈরি করা হয় যা, একে অপরের থেকে ২০ মিটার দূরে রাখা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হয় এই টেস্ট, প্রাক্তন ভারতীয় দলের হেলথ ও মেন্টাল কোচ শঙ্কর বসু ২০১৭ সালে দলের সাথে পরীক্ষাটি চালু করেছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় দলের খারাপ পারফরম্যান্স বিসিসিআই-এর চিন্তার কারণ এবং ক্রমাগত চোটের সমস্যার খবরও প্রতিনিয়ত সামনে আসতে থাকে। বিসিসিআই চায় তার ক্রিকেটাররা ফিটনেসের দিক থেকে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি থাকুক , ভারতের দীর্ঘ এক দশক কোনও সাফল্য নেই আইসিসি’র মঞ্চে। এই বছরই দেশের মাটিতে আয়োজিত হবে ২০২৩ বিশ্বকাপ। সেখানে ভারতীয় দলের থেকে সেরাটা চায় বিসিসিআই। যার আগেই বিসিসিআই এই ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’ নিয়ে মেতে উঠেছে।
When Virat Kohli spoke about the importance of fitness and Yo-Yo Test in daily lives.pic.twitter.com/9ZWwrrBzVU
— SUPRVIRAT (@ishant_tweetz) January 1, 2023