বিশ্বকাপের মঞ্চে আমরা আবার একটি বিরাট কোহলির মাস্টারপিসের সাক্ষী হয়ে থাকলাম। ডু অর ডাই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। চাপের মুখে আবার দায়িত্ব নিয়ে খেলতে দেখা গেলো প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।
৪৪ বলে ৬৪ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। ভারতীয় দল ২০ ওভারে ১৮৪ রান করতে সক্ষম হয়েছিল। জবাবে বাংলাদেশ যখন ব্যাটিং করতে আসে তখন বিরাট কোহলিকে ‘ফেক ফিল্ডিং’ বা ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করতে দেখা যায়, তবে এটিকে আদেও ফেক ফিল্ডিং বলা যাবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশি উইকেট রক্ষক নুরুল হোসেন। এমনকি ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে তিনি এই প্রসঙ্গ তুলে ম্যাচের আম্পায়ারদের খোঁচা দিয়েছেন।
বিরাট কোহলির ফেক ফিল্ডিং

অ্যাডিলেডে বৃষ্টি নামার ঠিক আগের ওভারেই ঘটতে দেখা গেল এই ঘটনা, বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে ডিপ অফ সাইডে বল মেরে রান নিতে যান লিটন। বিরাট তখন ফিল্ডিং করছিলেন পয়েন্টে। অর্শদীপ বল থ্রো করার সময়, বিরাট ভঙ্গির মাধ্যমে বোঝান যে, তিনি যেন বলটি ধরে উইকেটে ছুড়ছেন । মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় এই ঘটনা। তৃতীয় আম্পায়ারও কোনো আপত্তি করেননি এ বিষয়ে।
খেলা চলাকালীন বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফে থেকে কোনো আপত্তিকর জিনিস শোনা যায়নি, তবে এই ঘটনা যেন কোনো মতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশি সাপোর্টাররা। এবিষয়ে আইসিসির ধারা কি বলছে ? চলুন জেনে নেওয়া যাক
#INDvsBAN is this considered fake fielding? pic.twitter.com/rwLaPwv3xs
— Siddharth (@siddyhere1) November 3, 2022
‘ফেক ফিল্ডিং’ নিয়ে আইসিসির নিয়ম

আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, যদি ফিল্ডার বল সংগ্রহ করতে না পারে এবং ফিল্ডার যদি বলটি উইকেটে ছোড়ার ভঙ্গি করে এবং সেটি যদি ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দেয় বা বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করে তাহলে ক্রিজে থাকা আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন। তবে গতকাল মাঠে উপস্থিত থাকা দুই আম্পায়ার এটিকে কোনো ফেক ফিল্ডিং বলে মনে করেননি, তাই বাংলাদেশ দল পেনাল্টির ৫ রান পায়নি, অর্থাৎ বোঝায় যাচ্ছে বিরাট কোনও দোষ করেননি।