ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার চার টেস্টের সিরিজটি চেন্নাইয়ে আগামীকাল অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি স্বল্প বিরতির পর আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরতে চলেছেন। অ্যাডিলেডে খেলা প্রথম টেস্ট ম্যাচের পর বিরাট পিতৃত্বকালীন ছুটিতে বাড়ি চলে এসেছিলেন। আর এবার বিরাটের পক্ষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজটি বিভিন্ন দিক থেকে খুব বিশেষ হতে পারে।
এই সিরিজের বিরাট কোহলির তিনটি বড় রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকবে, আর এর ফলে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড, ব্রায়ান লারা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ে চেয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। ক্রিকেটের তিনটি ফর্ম্যাটে ৪২৩ ম্যাচে ২২,২৮৬ রান করেছেন বিরাট। আর এর ফলে এই সিরিজে টপকানোর সুযোগ থাকবে লারাকে। ৪৩০ ম্যাচে ২২,৩৫৮ রান করা লারাকে পিছনে ফেলে বিরাটের মাত্র ৭৩ রান দরকার এবং চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্টেই তিনি এটি করতে পারেন।
তিনটি ফরম্যাট মিলিয়তে মাস্টার ব্লাস্টার শচিন তেন্ডুলকার সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটি করেছেন ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক পন্টিংয়ের অ্যাকাউন্টে ৭১টি সেঞ্চুরি রয়েছে। বিরাটের বর্তমানে তার অ্যাকাউন্টে ৭০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি রয়েছে। ফলে তিনি যদি এই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি করেন তবে তিনি পন্টিংয়ের সমান হয়ে উঠবেন এবং যদি দুটি সেঞ্চুরি করেন তবে পন্টিংকে পিছনে ফেলে দেবেন।
এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার টেস্টের সিরিজে অধিনায়কত্বের দিক দিয়ে ক্লাইভ লয়েডকে ছাড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ পাবেন বিরাট। বিরাট তার অধিনায়কত্বে ৫৬ ম্যাচ খেলে ৩৩ ম্যাচ জিতেছেন, লয়েড তার অধিনায়কত্বের অধীনে ৭৪ ম্যাচ খেলে ৩৬ ম্যাচ জিতেছেন। লয়েডের সাথে সমানে আসতে, বিরাটকে এই সিরিজে তিনটি টেস্ট জিততে হবে, আর লয়েডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য একটি ৪-০ এর ক্লিন সুইপ দরকার।
টেস্ট অধিনায়কত্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিরাট পাঁচ নম্বরে রয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ তার অধিনায়কত্বের অধীনে ১০৯ টেস্টে ৫৩টি ম্যাচ জিতেছেন, অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ৭৭ ম্যাচে ৪৮ ম্যাচ জিতেছেন, অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়া ৫৭টি টেস্টে ৪১ ম্যাচ জিতেছেন এবং লয়েড ৭৪টি টেস্টে ৩৬ ম্যাচ জিতেছেন।