আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে উইমেন্স টি-২০ চ্যালেঞ্জ ২০২২ এর তৃতীয় ম্যাচে ভেলোসিটি আর ট্রেলব্লেজার্সের দল ফাইনালের টিকিট হাসিল করার জন্য মুখোমুখী হয়েছিল। পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে খেলা হওয়া এই ম্যাচে ভেলোসিটির অধিনায়ক দীপ্তি শর্মা টসে জিতে ট্রেলব্লেজার্সকে প্রথম ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্মৃতি মান্ধানার দল ১৯০ রান করে আর ভেলোসিটিকে ১৯১ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ভেলোসিটির দল মাত্র ১৭৪ রানই করতে পারে। কিন্তু ভাল রানরেটের কারণে ভেলোসিটি ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলে।
মেঘনা আর জেমিমার সৌজন্যে TBL করে ১৯০ রান
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ট্রেলব্লেজার্সের দল মাত্র ১৩ রানের স্কোরে নিজেদের অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার উইকেট হারিয়ে ফেলে। এই মুশকিল পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে আসা জেমিমা রডরিগেজ, সব্বিনেনী মেঘনার সঙ্গে জবাবী হামলা শুরু করে। বিশেষ করে মেঘনা নিজের প্রথম উইমেন্স টি-২০ চ্যালেঞ্জ ম্যাচে আক্রামণাত্মক মেজাজ দেখিয়ে বোলারদের রিমান্ডে নেওয়া শুরু করে দেন।
নিজের দলের হয়ে দ্রুতগতিতে রান করে মেঘনা ৭টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রান করেন। ১৫তম ওভারে তিনি স্নেহা রাণার বলে আউট হন। মেঘনার আউট হওয়া পর্যন্ত তার আর জেমিমার মধ্যে ১১৩ রানের পার্টনারশিপ হয়। এরপর ১৭তম ওভারে জেমিমাও ৪৪ বলে ৬৬ রান করে আউট হন। শেষ অভিজ্ঞ হ্যালি ম্যাথিউজ আর ডঙ্কলি বিস্ফোরক মেজাজে ক্রমশঃ ২৭ আর ১৯ রান করে, যার ফলে ট্রেলব্লেজার্স ১৯০ রানের লক্ষ্য স্কোর বোর্ডে রাখতে সক্ষম হয়।
শেফালি আর ইয়াস্তিকা VELকে দেন আক্রামণাত্মক শুরু
অন্যদিকে ১৯১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ভেলোসিটির ওপেনিং জুটি শেফালি বর্মা আর ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ঝোড়ো শুরু এনে দেন। যার মধ্যে শেফালি বর্মা দ্রুতগতি রান করার দায়িত্ব নিয়ে বাউন্ডারি আর ওভারবাউন্ডারির বৃষ্টি শুরু করেন। তবে আক্রামণাত্মক মেজাজে খেলার কারণে এই পার্টনারশিপ বেশি বড় হতে পারেনি। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া দলের ৩৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৯ রানে আউট হন। এরপরের ওভারেই শেফালি বর্মাও ১৫ বলে ২৯ রান করে আউট হন। ২ উইকেট পড়া সত্ত্বেও পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ভেলোসিটির স্কোর ৬৮ রান পর্যন্ত পৌঁছয়।
কিরণ নভগিরের ইনিংস ভেলোসিটিকে পৌঁছয় ফাইনালে
দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার পর ভেলোসিটিকে রান তাড়া করতে পেছিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছিল। এই অবস্থায় তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা কিরণ নভগিরে নিজের উপর চাপ তৈরি হতে দেননি আর লোরা ওয়ালওয়ার্ডও তাকে যথার্থ সঙ্গ দেন। এই দুই খেলোয়াড় মিলে তৃতীয় উইকেটের হয়ে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ১১তম ওভারে লৌরার উইকেট পড়ার পর আর কোনো ব্যাটসম্যানই কিরণকে সঙ্গে দিতে সফল হননি, দীপ্তি শর্মা আর স্নেহা রাণা ক্রমশঃ ২ আর ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
শেষে কিরণও ৩৩ বলে ৬৯ রান করে আউট হন। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যানই ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। যে কারণে ভেলোসিটি মাত্র ১৭৪ রানই করতে পারে। এই জয় সত্ত্বেও ট্রেলব্লেজার্স ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। কারণ খারাপ রান রেটের জন্য তাদের ভেলোসিটিকে ১৫৮ রানে আটকাতে হত। এখন এই দুই দলের পয়েন্ট সমান সমান, কিন্তু ভাল রানরেটের কারণে ভেলোসিটি ফাইনালে প্রবেশ করে ফেলেছে।