Team India: ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পথচলা শুরু করেন উমেশ যাদব (Umesh Yadav)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় ২০১১ সালে দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলাতে (বর্তমানে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম)। দুই দিকে স্যুইং করানোর দক্ষতা রয়েছেন উমেশের। এছাড়া ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার বেশী গতিতে নিয়মিত বোলিং করতে সক্ষম তিনি। এই জোড়া দক্ষতার সৌজন্যে দ্রুত ভারতীয় দলে (Team India) নিয়মিত হয়ে ওঠেন নাগপুরের পেসার। তাঁকে জাহির খানের উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ভারতের পাটা উইকেটেও একটা সময় নিয়মিত উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রথমে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও পরে বিরাট কোহলির অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন উমেশ। কিন্তু পরিস্থিতি পালটায় ২০২২-এ কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরেই। ২০২৩-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পরে আর জাতীয় দলে সুযোগ পান নি তিনি।
Read More: সাই সুদর্শন নয় বরং এই তারকা খেলোয়াড় করতে চলেছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক !!
জীবনসংগ্রামের গল্প শোনালেন উমেশ-

কোনো রকম বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো না উমেশ যাদবের (Umesh Yadav)। রবার বা টেনিস বল ক্রিকেটই সাধারণ খেলতেন তিনি। ২০ বছর বয়সে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেকের সময় প্রথমবার হাতে তুলে নিয়েছিলেন লাল রঙের ক্রিকেট বল। তা দিয়ে ঠিক কী করবেন সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিলো না তাঁর। তবে ক্রিকেট বলের মতিগতি বুঝতে বিশেষ সময় লাগে নি উমেশের। বিদর্ভের হয়ে রঞ্জি খেলার বছর দেড়েকের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়াতে (Team India)। তারপর এক দশকেরও বেশী সময় ভারতের (Team India) জার্সি গায়ে নিয়মিত তাঁকে দেখা গিয়েছে বোলিং রান-আপে। খেলেছেন তিন ফর্ম্যাটেই। গলি থেকে রাজপথে উঠে আসার এই চমকপ্রদ গল্প স্পোর্টস তক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি শুনিয়েছেন পেস তারকা।
“যখন আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম, কোনো ধারণাই ছিলো না যে এতদূর পৌঁছতে পারব, ভারতের হয়ে খেলব। আমি একজন সহজাত ফাস্ট বোলার। আমি ছোটোবেলা থেকেই দ্রুত বোলিং করছি। কোনো অ্যাকাডেমি বা নেটে কখনও যাই নি। সেই কারণেই কখনও ভাবি নি যে ভারতের হয়ে খেলব,” বলেছেন উমেশ (Umesh Yadav)। ভাগ্য সহায় ছিলো তাঁর, মেনে নিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ৩৭ বর্ষীয় তারকা জানিয়েছেন, “আমি শুধুই খেলে গিয়েছি। যে যেখানে খেলতে বলত খেলতাম। একজন কয়লা শ্রমিকের ছেলে আজ ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আমি মনে করি কিছু কিছু জিনিস হওয়ারই থাকে। আমি সবসময়ই বলি যে ফাস্ট বোলাররা সহজাত হন। আপনি তাঁদের তৈরি করতে কখনোই পারবেন না।”
এখনও স্বপ্ন দেখেন মাঠে ফেরার-

দুই বছর ভারতীয় দলে (Team India) সুযোগ পান নি উমেশ। এই বছর ডাক আসে নি আইপিএল থেকেও। বয়স ছুঁয়েছে ৩৭। তবে শত প্রতিকূলতার মাঝেও প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখেন ‘মেন ইন ব্লু’র হয়ে ৫৭ টেস্টে ১৭০ উইকেট নেওয়া তারকা। স্পোর্টস তক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “প্রত্যাবর্তনের জন্য যা যা প্রচেষ্টা করা দরকার সবই করেছি। নিজে তো আর নিজেকে বেছে নিতে পারি না। আমায় ফিট হয়ে উঠতে কিছু ম্যাচ খেলতে হবে। দলে ফিরতে হলে আমায় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে হবে। সম্পূর্ণ ফিট থেকে দলে ফিরে আসাই এখন আমার লক্ষ্য।” ৮ বছর পর সম্প্রতি টিম ইন্ডিয়াতে (Team India) প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন করুণ নায়ার। জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে। উমেশের প্রার্থনাও শুনবেন ক্রিকেট ঈশ্বর? প্রশ্নের জবাব লুকিয়ে ভবিষ্যতের গর্ভে।