TOP 3:২০২২ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে IPL-এর মোট দলের সংখ্যা ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ করে ভারতীয় বোর্ড। গুজরাত টাইটান্স এবং লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস পা রাখার সুযোগ পায় আইপিএলের আঙিনায়। নিজেদের প্রথম আইপিএলেই শেষ চারের যোগ্যতা অর্জন করেছিলো লক্ষ্ণৌ দল। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইতে পরাজিত হতে হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু’র কাছে। ২০২৩ আইপিএলের আগে তাই কোমর বেঁধে দল গুছিয়ে নেওয়ার লড়াইতে নেমেছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মালিকানাধিন সুপারজায়ান্টস’রা। অধিনায়ক কে এল রাহুলের বিশ্বকাপ ফর্ম বিশেষ ভালো না হলেও আপাতত তাঁর ওপর’ই ভরসা রেখেছে দল। আগামী মরসুমে শক্তিশালী দল গঠনের লক্ষ্যে ছেড়ে দিয়েছে জেসন হোল্ডার, মনীশ পাণ্ডেদের মত সুপারস্টারদের। লক্ষ্ণৌ-র রিলিজ তালিকা সামনে আসার পর বিশেষজ্ঞ’রা বলছেন ৩ এমন ক্রিকেটারের কথা যাদের ছেড়ে দিয়ে হয়ত পস্তাতে হতে পারে সুপারজায়ান্টস’দের।
মনীশ পাণ্ডে-

আইপিএলে’র ইতিহাসে মনীশ পাণ্ডে (Manish Pandey) নিঃসন্দেহে একটি বড় নাম। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের আঙিনায় শতরান করার রেকর্ডটিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। অভিজ্ঞ মনীশ একার দক্ষতায় অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন তাঁর দল’কে। বিশেষ করে কলকাতা নাইট রাইডার্সে থাকাকালীন ২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে ট্রফিজয়ে বিরাট ভূমিকা রেখেছিলো তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডব। মিডল অর্ডারের ব্যাটার মনীশ পাণ্ডে বড় শট এবং স্ট্রাইক রোটেশন, দুইতেই সিদ্ধহস্ত। খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখতে ভালোবাসেন। ১৬০টি আইপিএল ম্যাচে ৩৬৪৮ রান করেছেন মনীশ। ২০২২ মেগা অকশনে মনীশ’কে দলে নিয়েছিলো লক্ষ্ণৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি। মাত্র ৬ টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান তিনি, করেন ৮৮ রান। যথেষ্ঠ সুযোগ না দিয়েই তাঁকে রিলিজ করে দিয়ে হয়ত ভুল করলো সুপারজায়ান্টস’রা। মধ্যক্রমে মনীশের ব্যাটিং-র নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ হত লক্ষ্ণৌ দল।