Top 5: ক্রিকেট বিশ্বের যারা খেলোয়াড় তারা তাদের খেলা নিয়ে ফ্যানদের মধ্যে থাকতে বালোবাসেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও মাঝে মধ্যেই শিরোনামে চলে আসেন তারা। তাই ফ্যানরাও তাদের প্রিয় খেলোয়াড়দের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি মুহূর্ত এবং খবর জানতে আগ্রহী। তাই তারা শুধু ক্রিকেটারদেরই নয়, তাদের বান্ধবী/স্ত্রীকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করে।
ক্রিকেট বিশ্বে যত জনপ্রিয় ক্রিকেটাররা তত বেশি বিতর্কে জড়িয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়ে কুখ্যাত হয়েছেন পাকিস্তানসহ অনেক দেশের বিখ্যাত খেলোয়াড়রা। কখনও ম্যাচ ফিক্সিং আবার কখনো সেক্স টেপ অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড়ের মানহানি করেছে। আবার দেখা যায় নিজের স্ত্রী কিংবা বান্ধবীকে অন্য কোন নারীর জন্য ঠকিয়েছেন তারা। ক্রিকেটারদের এই নিজের পার্টনারকে ঠকানো এবং ফেঁসে যাওয়া ৫টি ঘটনার কতা কথা জেনে নেওয়া যাক।
বাবর আজম
পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমকে চলতি সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু একটা সময় বাবরের কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অডিও অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায় যার কারণে সর্বত্র এই নিয়ে আলোচনা হয়। ফাঁস হওয়া এসব ভিডিও ও বার্তার স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় চটপট। সেই সময় খবরে বলা হয়, বাবর তার নিজের সতীর্থের বান্ধবীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে ধরা পড়েছেন। তার কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বাবরের ব্যক্তিগত ছবিও শেয়ার করা হয়। এসব ছবির কারণে পাকিস্তান দলে তোলপাড় হয়। তবে সেই সময় বাবর আজমসহ দলের অন্য খেলোয়াড়রা নীরবতা পালন করেন এবং বিষয়টি আর বেশি দূর গড়ায়নি।
ইমাম উল হক
শুধু বাবর আজম নয়, এই তালিকায় রয়েছে আরও এক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। এই ধরণের কেলেঙ্কারিতে এক সময় অভিযুক্ত হন পাকিস্তানের ক্রিকেটার ও টেস্ট দলে থাকা ইমাম উল হক। এই ঘটনাটিও ২০১৯ সালের যখন একজন মহিলা ইমাম উল হকের সাথে তার চ্যাটগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে দেন। মহিলা আরও অভিযোগ করেন যে ইমাম উল হক একইভাবে অনেক মেয়েকে প্রতারিত করেছেন। এর পর অনেক মেয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন চ্যাট ফাঁস করেছিল। এরপর ইমামকে ক্ষমা চাইতে হয় এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। এই কাণ্ড ঘটিয়ে ইমাম যে নিজের বান্ধবীকে চরম ঠকিয়েছেন তা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
বিনোদ কাম্বলি
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির নিজের বউয়ের গায়ে হাত তুলে বেশ অসুবিধার মধ্যে অসুবিধার মধ্যে পরেছিলেন। ঘটনা হল, একটা সময় বিনোদ কাম্বলির বিরুদ্ধে মাতাল অবস্থায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বিনোদ কাম্বলির স্ত্রী আন্দ্রিয়া তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন, যার ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। বিনোদ কাম্বলির স্ত্রীর অভিযোগ, বিনোদ তাকে এমন মারে জার ফলে আহত হন তিনি। তার মাথায় চোট লাগে। সেই সময়, স্বামী বিনোদ কাম্বলি তার মাথায় রান্নার প্যান ছুড়ে মারেন তিনি। মার ছাড়াও ছাড়া বিনোদ কাম্বলির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী আন্দ্রেয়া দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন। তবে পরে নিজেদের মধ্যে সব সমস্যা মিটিয়ে নেন তারা।
মাইকেল ক্লার্ক
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবং প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান মাইকেল ক্লার্ক তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। অজি তারকা মাইকেল ক্লার্কের বান্ধবী জেড ইয়ারব্রো তার বিরুদ্ধে একটা সময় সরাসরি প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সময়, একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হয় যাতে জেড ক্লার্ককে প্রকাশ্যে চড় মারতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মাইকেল ক্লার্কের এই ভিডিওতে ক্লার্ককে খালি গায়ে দেখা যাচ্ছে। তবে সেই সময় তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোনা যায় ক্লার্ক তার গার্লফ্রেন্ড জেডের সামনে তার মেয়েকে গালি দেন। তবে বিতর্ক এখানে থেমে থাকেনি। ক্লার্কের এই অসভ্যতা জেডের উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি এবং সে তাকে চড় মারতে শুরু করে। শোনা যায়, অন্য এক মহিলার কারণেই ক্লার্ক এমন আচরণ করেন।
মহম্মদ শামি
২০১৪ সালে মহম্মদ শামি ও হাসিন জাহান বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বছর পরই শামির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করতে শুরু করেন হাসিনা জাহান। তিনি শামির বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য অত্যাচার, লাঞ্ছনা ও খারাপ সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন। হাসিন জাহান বলেন, ক্রিকেট সফরে থাকাকালীন শামি পতিতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। এর বিরোধিতা করলে তাকে মারধর করা হয়। যৌতুকও দাবি করা হয়। মহম্মদ শামি এসব অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বিরোধিতা করেন। হাসিন জাহান মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরে শামির বিরুদ্ধে আইপিসির ৪৯৮-এ (যৌতুক হয়রানি) এবং ৩৫৪ (একজন মহিলার শালীনতা অবমাননা) ধারার ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করেন। এই সমস্যা থেকে এখনও বেড়িয়ে আসতে পারেননি মহম্মদ শামি।