TOP 5: সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে ধরা হয় একদিনের বিশ্বকাপ’কে। সাদা বলের খেলায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করা যে কোনো ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে এই ট্রফিটিকে ছুঁয়ে দেখার। চার বছরের অপেক্ষার শেষে আসে সুযোগ। যুযুধান দলগুলিকে বাইশ গজের লড়াইতে হারিয়ে এই ট্রফিতে নিজের দেশের নাম লেখার লড়াইটা সহজ নয়। বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারদের তালিকায় শচীন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) নাম যোগ করতে দ্বিধাবোধ করবেন না কেউই। কিন্তু তাঁকেও একদিনের বিশ্বকাপ জেতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিলো দুই দশকের বেশী সময়। ২০০৩ সালে ফাইনালে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গের পর অবশেষে ২০১১ সালে দেশের মাঠে শাপমুক্তি হয় ক্রিকেট ঈশ্বরের।
সত্তরের দশকের ক্লাইভ লয়েডের অদম্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোক বা নয়া শতাব্দীর আগুনে অস্ট্রেলিয়া, কোনো দলের সাফল্য-ব্যর্থতার মাপকাঠি হিসেবেও হামেশাই ব্যবহৃত হয় বিশ্বকাপ জয়ের পরিসংখ্যান। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে বসবে একদিনের বিশ্বকাপের আসর। ‘টিম ইন্ডিয়া’র বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের কাছে এটাই বিশ্বজয়ীর তকমা পাওয়ার শেষ সুযোগ। নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে তেরঙ্গা ঝাণ্ডার শৌর্য্য রক্ষার লড়াইতে নামবেন তাঁরা। বিশ্বকাপ জিতেই সোনালী কেরিয়ারের যবনিকাটুকু টানতে চাইবেন তাঁরা।
শিখর ধাওয়ান-

আইসিসি টুর্নামেন্টে বরাবর ভালো ব্যাটিং করার রেকর্ড রয়েছে শিখর ধাওয়ানের (Shikhar Dhawan)। জাতীয় দলের হয়ে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেও বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া হয় নি তাঁর। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে সেমিফাইনাল থেকেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ২০২৩ এর বিশ্বকাপ শেষ সুযোগ হতে পারে তাঁর কাছে।
ভারতীয় দলের হয়ে ১৬৭ একদিনের ম্যাচে ৪৪ ব্যাটিং গড়সহ তিনি ৬৭৫৩ রান করেছেন। রয়েছে ১৭টি শতরান’ও। ২০২২-এর ডিসেম্বর অবধি ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেললেও নয়া বছরে এখনও তাঁকে খেলার সুযোগ দেয় নি টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিবর্তে ওপেনার হিসেবে ভাবা হয়েছে শুভমান গিলের নাম। সেই কারণে আদৌ ধাওয়ান বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
বর্তমানে ধাওয়ানের বয়স ৩৭। এবার বিশ্বকাপ না জিতলে তাঁর যে স্বপ্নপূরণ আর হবে না এখনই তা বলে দেওয়া যায়।