TOP 3: গত ৫ তারিখ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিলো ২০২৩ এর ওডিআই বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023)। এর দেড় মাস এবং ৪৭ ম্যাচ পর বাকি কেবল একটি খেলা। আগামী ১৯ নভেম্বর সেই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেই আয়োজিত হতে চলেছে বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) ফাইনাল। মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টে একে অন্যের বিরুদ্ধে খেলেই পথচলা শুরু করেছিলো দুই দল,ফাইনালেও সম্মুখসমরে তারাই। পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া গতকাল ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। অন্যদিকে ভারত হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। লীগ তালিকার শীর্ষে থাকা টিম ইন্ডিয়া প্রথম দল হিসেবে গত বুধবারই স্থান করে নিয়েছিলো খেতাবী যুদ্ধে।
এবারের বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শুরুতে চাপে পড়েও বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুলের ব্যাটে ভর দিয়ে জয় হাসিল করে নিয়েছিলো টিম ইন্ডিয়া। চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে জিতেছিলো ভারত। এর আগে ২০১১-তে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলো ‘মেন ইন ব্লু।’ পূর্বের সাফল্য মাথায় রাখলেও কামিন্সদের হাল্কা ভাবে নিতে নারাজ রোহিত শর্মার দল। পরিসংখ্যান বলছে অন্তত তিনবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) হৃদয় ভেঙেছে ভারতের।
Read More: World Cup 2023: ‘ওস্তাদের মার শেষরাতে’ ভুল শুধরে নিচ্ছেন রোহিত শর্মা, ফাইনালে এই ‘তুরুপের তাস’কে সুযোগ দিচ্ছে ভারত !!
১৯৯২ বিশ্বকাপ, ভারত ১ রানে পরাজিত-

১৯৯২ এর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারত মুখোমুখি হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাটিং করে অজিরা। ডিন জোন্সের ৯০ এবং ডেভিড বুনের ৪৩ রানের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ২৩৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে অনবদ্য লড়াই করে টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দীন ৯৩ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিলো ১৩ রান। উইকেটরক্ষক কিরণ মোরে পরপর দুই চার মেরে লক্ষ্যকে টিম ইন্ডিয়ার আয়ত্বে নিয়ে আসেন। কিন্তু এরপর মোরে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে ভারত। শেষ পর্যন্ত ১ রানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
২০১৫ বিশ্বকাপ, ভারত ৯৫ রানে পরাজিত-

২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আসরও বসেছিলো অস্ট্রেলিয়াতে। সেমিফাইনালে আয়োজক দেশের মুখোমুখি হয়েছিলো টিম ইন্ডিয়া। ২০১১-র বিশ্বজয়ীরা ২০১৫ সালেও দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছিলেন। সেমিফাইনালের আগে একটি ম্যাচেও হারে নি ‘মেন ইন ব্লু’। কিন্তু শেষ চারের লড়াইতে অজি ব্রিগেডের সামনে পথ হারায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। স্টিভ স্মিথের অনবদ্য শতরানের সুবাদে ৩২৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিচেল জনসন,প্যাট কামিন্সদের বিপক্ষে বিশেষ সুবিধা করতে পারে নি ভারত। ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৩৩ রানে। ৯৫ রানে হেরে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন চুরমার হয় টিম ইন্ডিয়ার।
২০০৩ বিশ্বকাপ, ভারত ১২৫ রানে পরাজিত-

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বপ্নের ফানুস উড়িয়েছিলো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ২০ বছর পর ভারত পা রেখেছিলো বিশ্বকাপ ফাইনালে। কিন্তু সেবার খেতাব থেকে ঠিক এক পা দূরেই থমকে গিয়েছিলো জয়যাত্রা। ফাইনালে রিকি পন্টিং এবং ড্যামিয়েন মার্টিনের ব্যাটিং-এর সামনে নতিস্বীকার করতে হয় ভারতকে। অস্ট্রেলিয়ার তোলা ৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিলো ২৩৪ রানে। একমাত্র বীরেন্দ্র শেহবাগ ছাড়া সফল হন নি কোনো ব্যাটার। ১২৫ রানের ব্যবধানে ফাইনাল হেরে মাঠ ছাড়তে হয় সৌরভ,শচীন,শেহবাগদের।